ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

টিসিবির পণ্য পেতে আর ভোগান্তি নয় (ভিডিও)

মুহাম্মদ নুরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩১, ১৪ মে ২০২২ | আপডেট: ১৭:৩৫, ১৪ মে ২০২২

টিসিবির পণ্য পেতে আর লম্বা লাইন বা ভোগান্তি নয়। দ্বৈততা এড়িয়ে ডাটাবেইজ থেকেই ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য বুঝিয়ে দেয়া হবে এক কোটি পরিবারের প্রকৃত উপকারভোগীদের। প্রযুক্তির এই ব্যবহারসহ পণ্য বিতরণ ব্যবস্থায় আরও কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি। 

কার্ডের কিউআর কোডস্ক্যান, মুহূর্তেই ভোক্তার সকল তথ্য হাজির মনিটরে। নির্ধারিত পণ্য বুঝিয়ে দিয়েই আবারও তথ্যের হাল-নাগাদ হলো সিস্টেমে। আধা মিনিট বা তারও কম সময়ে শেষ হলো পুরো প্রক্রিয়া। 

দ্রুত হলেও অন্তত নিশ্চিত থাকা যায় সরকারি সহায়তায় প্রকৃত মানুষটির হাতে পৌঁছেছে টিসিবির পণ্যটি। 

এভাবে, প্রতিবার লেনদেনের বিবরণ স্থিত থাকবে টিসিবির কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে। সংস্থাটির পরামর্শে একটি বেসরকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিকশিত করেছে সফটওয়্যার ও অ্যাপসটি। 

স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ডিজিটাল একটি কার্ডের ডিজাইন করেছি আমরা। তাতে সহজেই বুঝতে পারবেন এবং পণ্যটি দিয়ে দিবেন। কোন স্বাক্ষর বা অন্য কিছুরই দরকার হবে না। পণ্যটি দেওয়া মাত্রই ভোক্তার মোবাইলে একটি এসএমএস যাবে যে আপনি পণ্যটি পেয়েছেন, তাতে তারিখ ও জায়গার নাম উল্লেখ থাকবে।”

স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তৈরি এক কোটি পরিবারের তালিকা হাতে রয়েছে। 

সুবিধাভোগী এসব মানুষের নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানাসহ তথ্যের এক্সেল সিট সফটওয়্যারে আপলোড মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত এই ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ড। 

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, “মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে আমাদেরকে এবং টিসিবিকে এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হয়েছে। বিতরণকারি যত এক্সপার্ট হবে ততো দ্রুত এটা করা সম্ভব। দেড় থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে ৫-৬শ’ মানুষকে পণ্য দেওয়া সম্ভব হবে। সিস্টেম দেয়া আছে তাতে অটোমেটিক ডুপলিকেটগুলো রিজেক্ট হবে। কতজনকে দিল, হাতে কত পণ্য রয়ে গেল জায়গায় বসেই জানা সম্ভব হবে।”

কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জে পাইলটিং হয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবির কর্মকর্তারা। 

টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, “অ্যাপটি থাকায় সুবিধা হচ্ছে যে, স্ক্যান করলেই তার নামটা সার্ভারে এন্ট্রি হয়ে যাবে। কার্ডটা থাকবে সবার, যেহেতু ঢাকায় কার্ডটা হয়নি ডাটাবেইজে তাকে এন্ট্রি দিতে হবে।”

তবে, সবকিছুই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে, চূড়ান্ত হতে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন- বলছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা দ্রুত সম্পন্ন করার। ইতিমধ্যে অ্যাপসটি বানান হয়ে গেছে। ঈদের আগে ১ কোটি পরিবারকে এবং ১৬ তারিখ থেকে স্বল্প পরিবারে শুরু করা হবে।”

প্রযুক্তির ব্যবহারে পণ্য বিতরণে স্বচ্ছতার সাথে সার্বিক কার্যক্রমে গতি আসবে বলেও মত সংশ্লিষ্টদের। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি