ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঠোটে গোলাপী আভা পেতে হলে যা করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫০, ৫ আগস্ট ২০১৯

হাত, পা, কনুই, গোড়ালি এবং মুখের মতো একইভাবে ঠোটের যত্ন অনেক সময় নেওয়া হয় না বলেই ঝকঝকে মুখে ফাঁটা ঠোট বা কালচে ঠোট আপনার সৌন্দর্যকে অনেকটাই ম্লান করে দেয়। এজন্য আপনিও নিশ্চিত বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন। 

সারাদিনের হাসি, কত রকম কথা তা তো সামলায় এই ঠোট। তাই ঠোটের যত্ন না নিলে টসটসে একজোড়া ঠোট পাবেন কোত্থেকে? গোলাপ পাঁপড়ির মতো গোলাপি আভার পেলব ঠোট পেতে হলে এর পেছনেও সময় দিতে হবে আপনাকে।

এই সময়ে সহজ উপায়ে যেভাবে ঠোটের পরিচর্যা করবেন তা জেনে নিন-

ঠোটের যত্ন নিতে আমন্ড অয়েলের জুড়ি নেই। দিনে দুই থেকে তিনবার একফোটা করে আমন্ড অয়েল নিয়ে ঠোটে মাসাজ করুন। তাতে ফল পাবেন খুব দ্রুত।

ঠোটের যত্নে এই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর এয়ারটাইট শিশিতে রেখে দিন- ৫০ গ্রাম মধু, ২০ গ্রাম বা ৪ চা-চামচ চিনি, ৫ মিলি গোলাপ জল, ৫ মিলি ভ্যানিলা এসেন্স।

কীভাবে বানাবেন : সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন একবার ঠোটের মরা কোষ তুলতে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে প্রাকৃতিক ভাবেই। চিনি মরাকোষ সরিয়ে ঠোটকে করে নরম, মোলায়েম। আর এই দুই উপকরণ একসঙ্গে হলে তো আর কথাই নেই।

ফাটা ঠোট সারাতে

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং সারাবছরই অনেকে ঠোটের ফাটা সমস্যায় ভোগেন। আর তাতেই অর্ধেক সৌন্দর্য মাটি। সমাধান চাইলে গলানো মাখন সারারাত ঠোটে লাগিয়ে ঘুমান। পর পর ৩ থেকে ৪ দিন করলেই দেখবেন ঠোট চুঁইয়ে গ্ল্যামার ঝরছে। মাখনের বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। একই ফল পাবেন। গরম পানীয়ে চুমুক দেওয়ার অভ্যেস থাকলে আজই তা বন্ধ করুন। 

কালচে ঠোটে গোলাপি আভা

কালচে ঠোট কারোরই ভাললাগে না। এই সমস্যায় প্রথমেই রোজ গাঢ় শেডের লিপস্টিক লাগানো বন্ধ করুন। তবে অনুষ্ঠান থাকলে অবশ্য ঠোট রাঙাবেন। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য। সব সময় ঠোট লিপস্টিকে ঢাকা থাকলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। আর তাতে অক্সিজেনের অভাবে ঠোট কালচে দেখায়। 

ঠোটের কালচে ভাব কমাতে নারকেল তেল ও আমন্ড অয়েল মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন রোজ ব্যবহারের জন্য। লিপ বামের বদলে এই মিশ্রণ সারাদিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে ব্যবহার করুন লিপ মাস্ক।

এছাড়া ২ চা চামচ আমন্ড পেস্ট, ১ চা-চামচ আলু কোরা, আধখানা লেবুর রস ও ১ চা-চামচ ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে মিশ্রণ বানান। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ঠোটের ওপর পেস্টের মতো করে লাগান। মিনিট দশেক রেখে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে ১৫ দিনের মধ্যে হারানো জেল্লা ফিরে পাবে আপনার ঠোট।

ঠোটের কিনারা কালচে হলে

কালচে না হলেও অনেকেরই ঠোটের বর্ডারলাইন বা কিনারা কালচে হয়। এটাও বাঞ্ছনীয় নয়। এই সমস্যা কমাতে সবার আগে ঠোট কামড়ানো বা জিভ বোলানোর অভ্যেস কমাতে হবে। এরপর একটি পাত্রে ঠাণ্ডা দুধের সর নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে সেটা ঠোটে লাগান। দিনে ৩ থেকে ৪ বার করলে এক সপ্তাহে কালচে ভাব গায়েব হবে।

যাদের ঠোটের কোণা ফাটে

এই সমস্যা যাদের আছে তারা ব্যথা-জ্বালায় অস্থির থাকেন। বাড়তি উপদ্রব হলো সৌন্দর্যহানি। দুধের সর আর ঠাণ্ডা পানির সেঁক এই সমস্যার সমাধান। দিনে ২ থেকে ৩ বার দুধের সর মাসাজ করলে আর ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিলে আরাম পাবেন। সমস্যাও কমবে।

নিয়মিত এই টিপস মানলে আপনি চুপ থাকলেও কথা বলবে আপনার ঠোট আবার অন্যের নজরও কাঁড়বে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি