ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ডিমের কোন রঙের কুসুম বেশি পুষ্টিকর জানেন কি?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

ছোট বড় সবারই পছন্দের তালিকায় আছে ডিম। আবার সুপার ফুডের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে ডিম। তাই বাসাবাড়িতে সবাই ডিম রাখেন। শটকার্ট রান্না করা যায় বলে ডিমের আলাদা কদর রয়েছে। তবে অনেকে দ্বন্দ্বে থাকেন সাদা ডিম না কি লালচে খোসার ডিম— কোনটা ভাল, কোনটা বেশি উপকারী তা নিয়ে।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)র গবেষকদের মতে, মোটামুটি ৫০ গ্রাম ওজনের একটি ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট (যার মধ্যে দ্রবণীয় মাত্র ১.৫ গ্রাম) থাকে। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। সুতরাং, লাল হোক বা সাদা, দু’ধরনের ডিমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ যে প্রায় সমান— সে কথা মেনে নিচ্ছেন বিশ্বের বেশির ভাগ পুষ্টিবিদই।

এ থেকে জানা গেল ডিমের খোলার রং অনুযায়ী তার খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণের তেমন একটা পার্থক্য নেই। কিন্তু ডিমের কুসুমের রংও দু’রকমের হয়, হলুদ আর কমলা। কোন রঙের কুসুমের ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে অনেকের আছেন বিভ্রান্তিতে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, কুসুমের রং যত গাড়, ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর।

ইউএসডিএ’র গবেষকদের মতে, কুসুমের রং নির্ভর করে মূলত মুরগির খাবারের ওপর। আর ডিমের কুসুমের রং কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রাসায়নিকের প্রভাবে। বেশ কিছু খামারে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয় মুরগিকে। যার প্রভাবে ওই সব মুরগির ডিমের কুসুমের রং কমলা হয়। এছাড়া মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায়, তার ডিম ততই গাড় রঙের হয়ে থাকে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, দুটি কারণে কুসুমের রং গাড় হতে পারে। এক. মুরগিটি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক খাবার থেকে পুষ্টি আহরণ করছে। দুই. তাকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু খামারের যে কোন মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর রংও হয় গাঢ়। 

তাই কুসুমের রং গাঢ় হলেই তা যে ভালো এমনটি বলা যাবে না। দেখতে হবে মুরগির খাবারের ধরন। খামারের মুরগির ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হলেই তা বেশি উপকারী এমনটি নয়। কারণ অনেক খামারের মালিক মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ান শুধু কুসুমের রং গাঢ় করার জন্য। এসব কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা ফারাক হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মুরগির ডিমের কুসুম গাঢ় রংঙের হয় এবং তা বেশি পুষ্টিকর।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি