ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল পেতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৫, ২২ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৫:০৮, ২৫ জুলাই ২০১৮

ষোল কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এদেশে সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের (জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল) সুযোগ গ্রহণ করেছে। এদেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাই বেশি। কর্মক্ষম মানুষ বেশি থাকলেও তাদের একটি বড় অংশ বেকার। তাই কেউ কেউ মত দিচ্ছেন বিপুল জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। তবে মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পদসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে জনসংখ্যাই এ দেশের সম্পদ ও সম্ভাবনার বড় জায়গা। এই জনসংখ্যাকে যুগোপযোগী শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীন, বিশ্ব অর্থনীতিতে রাজত্ব করছে দেশটি।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এবং বিপুল জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য বোঝা না, সম্পদ?-এ বিষয়ে কথা হয় অর্থনীতিবীদ, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সঙ্গে। একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি মানুষ কর্মক্ষম। যাদের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছর। এর মধ্যে যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর এমন তরুণ প্রজন্ম আছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। তরুণদের বয়স যদি ৩৬ বছর পর্যন্ত ধরি তবে তাদের বয়স হবে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। এদের  কেউ কাজে ঢুকছে বা ঢুকবে। এছাড়া প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ যুবক আছে, যারা কোনো কাজ করে না, কাজের প্রশিক্ষণও নেয় না। সম্পূর্ণ বেকার। কিন্তু এরা সবাই কর্মক্ষম।

এই কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। কিন্তু এ কর্মক্ষমের সংখ্যা বেশিদিন থাকবে না। ২০৪০ সালের দিকে কমতে থাকবে। ২০৫০ সালের পর অনেকটা কমে যাবে। তাই সময় থাকতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে কাজে লাগাতে দরকার বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা। দরকার সমন্বিত গতিশীল তৎপরতা ও উদ্যোগ।

সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইন প্রতিবেদক রিজাউল করিম।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট (জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল) এর সুযোগ গ্রহণ করেছে। দেশে প্রচুর কর্মক্ষম মানুষ। তারা কাজ পাচ্ছে না। এদের দক্ষ করে কাজে লাগাতে হলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

কাজী খলিকুজ্জমান: এখন আমাদের এ শিক্ষিত বেকারদের যত দ্রুত সম্ভব কাজের উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। কেননা এদের বিশেরভাগ এমন এক বিষয়ে লেখা-পড়া করেছে যে বিষয়গুলো চাকরি বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যারা কাজ করে না, প্রশিক্ষণও নেয় না। তাদেরকে কাজের আওতায় আনতে হবে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: প্রশিক্ষণটা আসলে কিভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করছেন?

কাজী খলিকুজ্জমান: সরকারি-বেসরকারি অনেক জায়গাতে প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানেই মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। এমনভাবে এ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে যার ভালো কোনো প্রশিক্ষক নেই, প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি নেই। শুধু নামমাত্র প্রশিক্ষণ দিয়েই খালাস। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে তদারকি আরো বাড়াতে হবে।ঠিকমতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। যার সংখ্যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। সরকারের নীতি-সিদ্ধান্তেও আছে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। যেখানে সমসাময়িক চাহিদাপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে হবে।

এরইমধ্যে একটা বিষয়ের উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেখানে পুরো শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ কারিগরি শিক্ষায় যেতেন। এখন সেখানে ১৪ শতাংশ বেড়েছে। সরকারের পরিকল্পনা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষায় নিয়ে আসা।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন:  জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে সরকারের সুদূরপ্রসারী কোনো পদক্ষেপ কিংবা পরিকল্পনা আছে কী না?

কাজী খলিকুজ্জমান: এ বিষয়ে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকারের একটি শিক্ষানীতি হয়। যে নীতিটি খুবই প্রগতিশীল ও সময়োপযোগী। যেখানে শ্রম সংশ্লিষ্ট কাজের কথা বলা হয়েছে। নৈতিকতার শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেখানে উচ্চ শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে কারিগরি শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। যেখানে অষ্টম শ্রেণীর পর যদি কেউ আর লেখা-পড়া না করে সে যেন দক্ষতা অনুযায়ী একটি কর্ম বেঁছে নিতে পারে সে কথাটিও সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আর যদি পড়ে তবে কারিগরি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারবে। আগে পদ্ধতি ছিল যারা ডিপ্লোমা করবে তারা শুধু সেটাই করবে। আর কিছু পড়ার সুযোগ ছিল না। এখন নতুন পদ্ধতিতে কেউ যদি দক্ষতা মান ১ থেকে ৪ অর্জন করে সে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। দু:খের বিষয় হচ্ছে নীতিটা নীতি আকারেই রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষা আইন হয়নি।

২০১১ সালে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন নীতি নামে আর একটা নীতি গৃহিত হয়। যে নীতির কাউন্সিল হলো মাত্র কয়েকদিন আগে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। কিন্তু এতো বছর পেরিয়ে গেলেও নীতির বাস্তবায়নে কোনো আইন বা প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠেনি। অর্থাৎ কাজের অগ্রগতি নেই।

এছাড়া সরকার আরো কিছু কর্মসূচি আছে। যে কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সে প্রশিক্ষণে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফও জড়িত। পিকেএসএফ এরই মধ্যে ১০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আরো ১২ হাজার আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে কয়েক লাখ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গেছে।

সরকারের তরফ থেকে আমাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল প্রশিক্ষণার্থীদের ১৪ শতাংশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি যে ৮১ শতাংশ কোনো কোনো জায়গায় কর্মসংস্থান হয়ে গেছে। কোন কোন জায়গাতে শতভাগ কর্মসংস্থান হয়ে গেছে। এদের (প্রশিক্ষণার্থীদের) বেশিরভাগ-ই হয়েছে চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা ও বিদেশগামী।

এছাড়া আমাদের পিকেএসফ এর নিজেস্ব একটি কর্মসূচি আছে। যেখানে আমরা সমৃদ্ধি বাংলাদেশ নামক কর্মসূচিতে প্রায় ২০০টা ইউনিয়নে কাজ করেছি। সেখানে আমরা দুই ধরণের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। একটি হচ্ছে মানবিক গুণাবলি।অন্যটি হচ্ছে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অবস্থা কেমন?  যদি আমরা পিছিয়ে থাকি, তার কারণ কী?

কাজী খলিকুজ্জমান: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা ভোগ থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি শুধু একটি কারণে। সেটি হচ্ছে আমাদের যে মূল শক্তি তথা জনসম্পদ সেটির বেশিরভাগই অদক্ষ। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। বিদেশিরা প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ আমাদের দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক স্তরে কাজ করে। মোটা অঙ্কের বেতন পায়। তাই অল্প সংখ্যক হয়েও তারা অনেক বেশি অর্থ আমাদের দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা এতো সংখ্যক লোক বিদেশে যাওয়ার পরও আমরা রেমিটেন্স আনতে পারছি মাত্র ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের যারা বিদেশে যায়, তাদের বেশিরভাগ অদক্ষ। যার কারণে তাদের অপেক্ষাকৃত বেশি শ্রমের কাজ করতে হয়। মাঠে-ময়দানে কাজ করতে হয়। যেখানে বেতনও কম। দক্ষতা বাড়াতে পারলে আমাদের শ্রমিকরাও অনেক বেশি আয় করতে পারবে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন:  আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে অনেক বিশেষজ্ঞ বোঝা মনে করেন, আপনিও তাই মনে করেন কি না?

কাজী খলিকুজ্জমান: বেকারদের আমি বোঝা মনে করি না। তবে তাদের অনেকে আবার বেকার থাকার করণে খারাপের দিকে ধাপিত হচ্ছে। মাদকের দিকে যাচ্ছে। মেয়েদের উত্তক্ত করছে। নানাবিধ অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। কাজের অভাবেই কিন্তু তারা বিপথে যাচ্ছে। নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে তাদের ভালো করা যাবে না। যতক্ষণ জীবন চলার মতো কোনো কর্মের সন্ধান না দিতে পারবো।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন:  ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগিয়ে যেসব দেশ উন্নত হয়েছে। তাদের থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি?

কাজী খলিকুজ্জমান: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় আমরা এগিয়ে আছি। তবে সমৃদ্ধ দেশে চীন, জাপান, তাইওয়ান ও ভারতের মতো দেশগুলোর তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি। ভারত- শ্রীলঙ্কা দক্ষতার উপর অনেক বেশি নজর দেয়। তারা বাজারমুখী এবং চাহিদা আছে এমন শিক্ষার উপর গরুত্ব দেয়। তাদের দক্ষ জনশক্তি দেশে ও বিদেশের শ্রমবাজারে দাপটের সঙ্গে কাজ করে। প্রচুর আয় করে। আমাদের সে জায়গাটায় যেতে হলে শ্রমশক্তির দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে। চীন, জাপান ও তাইওয়ানের পর্যায়ে যেতে আমাদের অনেক সময় লাগবে। সমন্বিত কর্মতৎপরতা ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব না। সেজন্য শিক্ষার হার যেমন বেড়েছে, এর মানও সমানতালে বাড়ানো দরকার।

এ ক্ষেত্রে জাপান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। জাপানে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর অর্থনীতি একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছিল। কিন্তু তারা শিক্ষা ও শ্রমশক্তির দক্ষতায় আগে থেকেই এগিয়ে ছিল। শিক্ষা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা আজকের পর্যায়ে এসেছে। আমাদের ডেমোগ্রাফিক কাজে লাগাতে হলে দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন:  বর্তমানে কোন কোন খাতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব আছে বলে মনে করেন এবং ভবিষ্যতে কোন খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হতে পারে?

কাজী খলিকুজ্জমান: সব খাতেই আমাদের দক্ষতার অভাব আছে। আমাদের যে কোনো বিষয়ে প্রশিক্ষকের অভাব আছে। কৃষিতে দক্ষতা লাগে। বাজারজাত করণে দক্ষতা লাগে। গ্রামগঞ্জে ছোট ছোট পার্স তৈরি করায় দক্ষতা দরকার। এগুলোতে প্রচুর দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতেও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে ড্রাইভিংয়েও প্রচুর জনবল লাগছে। এগুলোর কোনোটিতেই আমাদের পর্যাপ্ত দক্ষতাসম্পন্ন জনবল নেই।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন:  ডেমোগ্রাফিক ডিফিডেন্ড বাংলাদেশ আসলে কতটা কাজে লাগাতে পারছে? আপনার মূল্যায়ন কি?

কাজী খলিকুজ্জমান: আমাদের বিধি আছে। আইন আছে। প্রতিষ্ঠানিক কিছু ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু যেখানে বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসে সেখানেই বড় ঘাটতি থেকে যায়। সেই ঘাটতি আমাদের দূর করতে হবে। আমরা জানি আমাদের দক্ষতার গ্যাপটা এতো বড় যা অল্প সময়ে পূরণ সম্ভব না। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করলে অল্প সময়ে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। সবাইকে সমানভাবে, সম্মানের সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। সবাইকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগও তৈরি করতে হবে।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি