ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কমেনি ভোগান্তি (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ২৭ মার্চ ২০২৩

বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি এখনো কমেনি। কয়েক বছর আগে আবেদন করেও লাইসেন্স না পেয়ে এখনও ঘুরছেন অনেকেই। বন্ধ রয়েছে মধ্যম ও ভারি লাইসেন্সের লার্নার কার্ডও। 

গেলো জানুয়ারিতে পরীক্ষা, বায়োমেট্রিকসহ সব কার্যক্রম শেষ করে একদিনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় বিআরটিএ। বিভিন্ন কার্যালয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স- স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন-সাইনবোর্ড থাকলেও বাস্তবতার ফারাক অনেক। 

বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাটের বাবুল সরদার। ২০২১ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করেছিলেন। ধারাবাহিকভাবে শেষ করেছেন সব কার্যক্রম, দিয়েছেন বায়েমেট্রিকও। কিন্তু লাইসেন্স পাচ্ছেন না। 

বাবুল সরদার বলেন, “তিন বছর ধরে এই টেবিল থেকে ওই টেবিলে ঘুরাচ্ছে।”

গত দুই বছরের বেশি সময় তাকে কেন ঘোরানো হচ্ছে তিনি জানানে না। তাই ক্ষোভের শেষ নেই বাবুলের। 

বাবুল বলেন, “আমি দিয়েছি পেশাদার, এখানে দেওয়া হয়েছে অপেশাদার। বাইরে গেলেও ট্রাফিকে ধরে আমাকে, কেন লোক নিয়েছি। এই ভুল ঠিক করতে ঘুরতে হচ্ছে এ টেবিল থেকে ও টেবিলে, তারপরও সংশোধন করতে পারছিনা।”

এরকম অনেকেরই দেখা মিললো বিআরটিএ’র ইকুরিয়া কার্যালয়ে গিয়ে। তারা জানান, ভোগান্তির অপর নাম ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

কার্যালয়গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন পরীক্ষার্থীরা। তারাও জানান নানা সমস্যার কথা। 

তারা জানান, আসলে একটি সিল মেরে ছেড়ে দেয়। তিন বছর ধরে শুধু ঘুরতেছি। 

বর্তমানে বন্ধ রয়েছে মাঝারি ও ভারি লাইসেন্সের লার্নার কার্ড। কিন্তু এর কোনো সদুত্তর নেই কর্মকর্তাদের কাছে। 

লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি শেষ, এখন প্রার্থীরা ঘরে বসেই লাইসেন্স পাচ্ছেন- এমন দাবি মন্ত্রণালয়ের সচিবের। 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, “প্রতিদিন কিছু কার্ড ড্রাইভারদের বাড়িতে পৌঁছাচ্ছি। একই সঙ্গে মোবাইলে সে মেসেজ পেয়ে যাচ্ছে। শুরু করেছি দু’বছর চলতে দেন দেখবেন বাংলাদেশে ড্রাইভ লাইসেন্স পেতে আর কোনো অসুবিধা থাকবে না।”

তবে, বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের। প্রচলিত পদ্ধতিতে যোগ্য ও দক্ষ কোনো চালক তৈরি হবে না বলেই মনে করেন অনেকে। 

বুয়েট এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, আমূল পরিবর্তন দরকার। এখানে লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক যে পরীক্ষা নেয়া হয় এটা অনেকটা প্রহসন। লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে কিন্তু সড়কে গাড়ি চালানোর নূন্যতম ধারণা নেই তার।”

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে লাইসেন্স আরও কড়াকড়িসহ চালকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি