ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ২৫৫

প্রকাশিত : ২২:৪৫, ৪ মার্চ ২০১৯

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ঢাকায় ৬ হাজার ৪০৯টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজী মো. সেলিমের (ঢাকা-৭) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে থেকে কিছু বাড়ি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও চাহিদা পত্র হোল্ডারদের অনুকূলে বিক্রয় করা হয়েছে। কিছু বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছিল। যদিও এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ভেঙে ফেলার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।

শ. ম. রেজাউল করিম আরও জানান, ২০১৬ সালে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফের জরিপ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে মালিক কর্তৃক ২৫টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ২৮টি ভবন মালিক কর্তৃক ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিদ্যমান আছে, যার মধ্যে ৩৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং ২২০টি বাহ্যিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।

ভবনগুলি চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সেগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

পূর্বাচলে বরাদ্দ হয়েছে ২৪ হাজার ৬৯৬ প্লট:

আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ২০০৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩, ৫, ৭ দশমিক ৫ ও ১০ কাঠা আয়তনের ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্লটগুলো মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/ সংসদ সদস্য ও সমমর্যাদা সম্পন্ন বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, সশস্ত্রবাহিনী, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, বেসরকারি চাকরিজীবী, শিল্পী সাহিত্যিক ও ক্রীড়াবিদ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী, অন্যান্য, মূল অধিবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৩/এ ধারা (সংরক্ষিত) ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি