ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঢাবি উপাচার্য প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১, ৩ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:১৫, ৩ আগস্ট ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের জন্য মনোনীত তিন সদস্যের প্যানেলের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।


প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে উপাচার্য নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া রিটটি চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আদেশে আপিল বিভাগ বলেছেন, রিট আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।


আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। অন্যদিকে রিটকারী রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েটদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনে তিন সদস্যের প্যানেল মনোনীত করতে ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ সভা ডাকা হয়। ওই বিশেষ সভার জন্য ১৬ জুলাই সিনেট সদস্যদের চিঠি পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
সিনেটের বিশেষ সভার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের ওপর ২৪ জুলাই শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ নোটিশের কার্যকারিতা তথা বিশেষ সভা স্থগিত করেন।


হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জুলাই চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।


উপাচার্য নির্বাচনে তিন সদস্যের প্যানেল মনোনীত করতে ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ সভা যথারীতি হয়। সভায় তিনজনের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এই প্যানেলে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুল আজিজ রয়েছেন।সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট পূর্ণাঙ্গ না করে অর্ধেকের কম সদস্য নিয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিসহ অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারত। কিন্তু প্রশাসন সেই পথে না গিয়ে অনেকটা একতরফাভাবে তিনজনের প্যানেল নির্বাচন করেছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেটের মোট সদস্য ১০৫ জন। কিন্তু কয়েকটি শ্রেণির নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমান সিনেটে ৫০টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ২৫ জন, ৫ জন গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি, ৫ জন অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের অধ্যক্ষদের প্রতিনিধি, একাডেমিক পরিষদের মনোনীত ১০ জন ও ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধির পদ শূন্য।


এর বাইরে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি সিনেটের বিশেষ অধিবেশন বর্জন করেন। অনুপস্থিত ছিলেন আরও ৬ জন। বাকি ৪৭ জন সদস্যের উপস্থিতিতে তিনজনের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়।
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি