ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৩, ২৭ এপ্রিল ২০২০

সূরা আর রাহমান (বাংলা মর্মবাণী)
পারা ২৭, আয়াত ৭৮, রুকু ৩ (মাদানী)
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

১. পরম দয়াময় আল্লাহ। ২. তিনি কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। ৩. তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। ৪. তিনি তাকে (গুছিয়ে চিন্তা করতে ও) স্পষ্টভাবে কথা বলতে শিখিয়েছেন। ৫. সূর্য ও চন্দ্র নির্ধারিত কক্ষপথে ভ্রাম্যমাণ। ৬. তারকা ও গাছপালা তাঁকেই সেজদারত (তাঁর নিয়মেই সমর্পিত)।

৭. তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং সবকিছুর জন্যেই তৈরি করেছেন মানদণ্ড। ৮. তোমরা কখনো ভালো-মন্দ বিচারে ন্যায়দণ্ড লঙ্ঘন কোরো না। ৯. সবকিছুর ওজনে ন্যায্যমান প্রতিষ্ঠা করো এবং ওজন বা বিচারে কারচুপি কোরো না।

১০. তিনি জমিনকে সমস্ত সৃষ্টির জন্যে বিছিয়ে দিয়েছেন। ১১. জমিনে রয়েছে সব ধরনের ফলমূল, খেজুর গাছে নতুন কাঁদি। ১২. নানাধরনের খোসা-আবৃত শস্যদানা আর সুগন্ধি লতাগুল্ম। ১৩. অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

১৪. তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়ামাটির মতো শুকনো মাটি দিয়ে। ১৫. আর (অদৃশ্য) জ্বীনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াহীন আগুনের শিখা থেকে। ১৬. অতএব (হে জ্বীন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

১৭. তিনিই দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের নিয়ন্ত্রক। ১৮. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

১৯. সমুদ্রের দুই বিশাল স্রোতধারাকে তিনি মুক্তভাবে প্রবাহিত করেন, যাতে তারা পরস্পর মিলিত হতে পারে। ২০. কিন্তু মাঝে রয়েছে অদৃশ্য দেয়াল, ফলে তারা পরস্পরকে অতিক্রম করতে পারে না। ২১. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

২২. আর সমুদ্রে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল। ২৩. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

২৪. সমুদ্রে চলমান পর্বতের মতো শোভাময় নৌযানগুলো তাঁরই  নিয়ন্ত্রণাধীন। ২৫. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

২৬. মহাবিশ্বে যেখানে যা-কিছু আছে সবই নশ্বর। ২৭. অবিনশ্বর শুধু তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহামহিম, মহানুভব। ২৮. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

২৯. মহাবিশ্বের সবকিছুই তাঁর ওপর নির্ভরশীল, তাঁরই নিকট প্রার্থনা করে। সময়ের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর মহিমা নব নবরূপে দীপ্যমান। ৩০. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৩১. হে (পাপভারাক্রান্ত) জ্বীন ও মানুষ! একদিন আমি তোমাদের সবারই হিসাব নেব। ৩২. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৩৩. হে জ্বীন ও মানুষ! তোমরা যদি পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সীমানা অতিক্রম করতে চাও, অতিক্রম করো। কিন্তু তোমরা কখনোই আমার অনুমতি ছাড়া তা অতিক্রম করতে পারবে না। ৩৪. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৩৫. (তখন) তোমাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিশিখা ও ধূম্রপুঞ্জ, তোমরা কখনোই তা প্রতিরোধ করতে পারবে না। ৩৬. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৩৭. আর একদিন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে (তেল-পোড়া আগুনের মতো) গনগনে লাল হয়ে যাবে। ৩৮. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৩৯. সেদিন কোনো জ্বীন বা মানুষকে তার পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হবে না। ৪০. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৪১. পাপে নিমজ্জিতদের চেহারাই বলে দেবে তাদের অবস্থা। তাদের চুলের ঝুঁটি ও পা ধরে টেনেহিঁচড়ে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হবে। ৪২. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৪৩. এই সেই জাহান্নাম, যা পাপে নিমজ্জিত ব্যক্তিরা অসত্য মনে করত।  ৪৪. জাহান্নামের আগুন ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ওরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকবে। ৪৫. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৪৬. কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহ-সচেতন ছিল, তার জন্যে জান্নাতে রয়েছে দুটি বাগান। ৪৭. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৪৮. উভয় বাগানই শাখাপ্রশাখায় পরিপূর্ণ সবুজ সতেজ গাছপালায় ভরপুর। ৪৯. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৫০. উভয় বাগানে দুটি স্রোতধারা নিয়ত প্রবহমান। ৫১. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫২. উভয় বাগানেই প্রতিটি ফলই হবে দুই ধরনের। ৫৩. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৫৪. জান্নাতে তারা বর্ণিল ব্রোকেড করা পুরু রেশমি কার্পেটে ঠেস-বালিশে আরামে হেলান দিয়ে বসবে। দুই বাগানের ফল ঝুলবে তাদের নাগালের মধ্যে। ৫৫. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫৬. সে বাগানে থাকবে বিশুদ্ধ দৃষ্টির সমুজ্জ্বল সাথিরা। কোনো জ্বীন বা মানুষ কখনো যাদের কাছে আসে নি। ৫৭. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৫৮. ওরা হবে মুক্তা ও চুনির ঔজ্জ্বল্যে দীপ্তিময়। ৫৯. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৬০. উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ছাড়া আর কী হতে পারে? ৬১. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৬২. ঐ দুটি বাগান ছাড়াও থাকবে আরো দুটো বাগান। ৬৩. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৬৪. ঘন সবুজ শ্যামল সতেজ বাগান। ৬৫. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৬৬. প্রতিটি বাগানেই উৎসারিত হবে দুটি ঝর্নাধারা। ৬৭. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৬৮. সেখানেও থাকবে প্রচুর ফলমূল, খেজুর, আনার। ৬৯. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৭০. (বাগানগুলোর) সবকিছুই হবে পরিশুদ্ধ ও মনোহর। ৭১. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৭২. সুসজ্জিত বর্ণিল তাঁবুতে থাকবে পরিশুদ্ধ সমুজ্জ্বল সাথিরা। ৭৩. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? ৭৪. কোনো জ্বীন বা মানুষ কখনো এদের কাছে আসে নি। ৭৫. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৭৬. তারা সুন্দরতম গালিচায় সবুজ তাকিয়ায় পরম প্রশান্তিতে হেলান দিয়ে বসবে। ৭৭. অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

৭৮. কত বরকতময় তোমার প্রতিপালকের নাম, যিনি মহামহিম, মহানুভব!

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
এটাই কুরআন মজীদের একমাত্র সূরা যার মধ্যে মানুষের সাথে পৃথিবীর অপর একটি স্বাধীন সৃষ্টি জিনদেরকেও সরাসরি সম্বোধন করা হয়েছে এবং উভয়কেই আল্লাহর কুদরতের পরিপূর্ণতা, তাঁর সীমা-সংখ্যাহীন দয়া ও অনুগ্রহ, তাঁর সামনে তাদের অক্ষমতা ও অসহায়ত্ব এবং তাঁর কাছে তাদের জবাবদিহির উপলব্ধী জাগ্রত করে তাঁর অবাধ্যতার অশুভ পরিণতি সম্পর্কে সাবধান করে দেয়া হয়েছে আর আনুগত্যের উত্তম ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। যদিও পবিত্র কুরআনের কয়েকটি স্থানে এ বিষয়ে পরিস্কার বক্তব্য রয়েছে যা থেকে স্পষ্ট জানা যায় যে, জিনরা ও মানুষের মত স্বাধীন ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সম্পন্ন দায়িত্বশীল সৃষ্টি, যাদেরকে কুফরী ও ঈমান গ্রহণের এবং আনুগত্য করার ও অবাধ্য হওয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যেও মানুষের মতই কাফের ও ঈমানদার এবং অনুগত ও অবাধ্য আছে। তাদের মধ্যেও এমন গোষ্ঠী আছে যারা নবী -রসূল আলাইহিমুস সালাম ও আসমানী কিতাবসমূহের ওপর ঈমান এনেছে। তবে এ সূরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও কুরআন মজীদের দাওয়াত জিন ও মানুষ উভয়ের জন্য এবং নবীর (সা:) রিসালাত শুধু মানবজাতি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়।

এ সূরার শুরুতে মানুষকে লক্ষ করেই সম্বোধন করা হয়েছে। কারণ তারাই পৃথিবীর খিলাফত লাভ করেছে, তাদের মধ্যেই আল্লাহর রসূল এসেছেন। এবং তাদের ভাষাতেই আল্লাহর কিতাব নাযিল করা হয়েছে। কিন্তু পরে ১৩ আয়াত থেকে মানুষ ও জিন উভয়েকই সমানভাবে সম্বোধন করা হয়েছে এবং উভয়ের সামনে একই দাওয়াত পেশ করা হয়েছে।

নামকরণ
প্রথম শব্দটিকেই এ সূরার নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এভাবে বুঝানো হয়েছে যে, এটি সেই সূরা যা “আর-রাহমান” শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে। তাছাড়া সূরার বিষয়বস্তুর সাথেও এ নামের গভীর মিল রয়েছে। কারণ এ সূরার মধ্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার রহমতের পরিচায়ক গুণাবলী ও তার বাস্তব ফলাফলের উল্লেখ করা হয়েছে।

নাযিলের সময়-কাল
তাফসীর বিশারদগণ সাধারণতঃ এ সূরাটিকে মক্কী সূরা বলে আখ্যায়িত করেন। যদিও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইকরিমা ও কাতাদা থেকে কোন কোন হাদীসে একথা উদ্ধৃত হয়েছে যে, এ সূরা মদীনায় অবতীর্ণ তা সত্ত্বেও প্রথমত ঐ সব সম্মানিত সাহাবা বিষয়বস্তু মদীনায় অবতীর্ণ সূরাসমূহের তুলনায় মক্কায় অবতীর্ণ সূরাসমূহের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন কি বিষয়বস্তুর বিচারে এটি মক্কী যুগেরও একেবারে প্রথম দিকের বলে মনে হয়। তাছাড়া বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য হাদীস থেকে একথা প্রমাণিত হয় যে, এটি হিজরতের কয়েক বছর পূর্বে মক্কাতে নাযিল হয়েছিল। মুসনাদে আহমদে হযরত আসমা বিনতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেছেনঃ কা’বা ঘরের যে কোণে হাজরে আসওয়াদ স্থাপিত আমি হারাম শরীফের মধ্যে সে কোণের দিকে মুখ করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায পড়তে দেখেছি। 

তখনও পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশ -(তোমাকে যে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তা প্রকাশ্যে বলে দাও) নাযিল হয়নি। সে নামাযে মুশরিকরা তাঁর মুখ থেকে -- কথাটি শুনেছিল। এ থেকে জানা যায় যে, এ সূরাটি সূরা আল হিজরের পূর্বেই নাযিল হয়েছিল।

আল বাযযার, ইবনে জারীর, ইবনুল মুনযির, দারুকুতনী (ফীল আফরাদ), ইবনে মারদুইয়া এবং আল খাতীব (ফিত তারীখ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন যে, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সূরা আর রহমান তিলাওয়াত করলেন অথবা এ সূরাটি তাঁর সামনে পাঠ করা হলো। পরে তিনি লোকদের বললেনঃ জিনরা তাদের রবকে যে জওয়াব দিয়েছিল তোমাদের নিকট থেকে সে রকম সুন্দর জওয়াব শুনছি না কেন? লোকেরা বললো, সে জওয়াব কি ছিল! নবী ( সা) বললেনঃ যখনই আমি আল্লাহর বাণী ( ) পড়ছিলাম, জিনরা তার জবাবে বলেছিল ( ) ‘আমরা আমাদের রবের কোন নিয়ামতকেই অস্বীকার করি না।’

তিরমিযী, হাকেম ও হাফেজ আবু বকর বায্যার হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে প্রায় অনুরূপ বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ননা করেছেন। তাঁদের বর্ণনার ভাষা হচ্ছেঃ সূরা রাহমানের তিলাওয়াত শুনে লোকজন যখন চুপ করে থাকলো তখন নবী ( সা) বললেনঃ ‘যে রাতে কুরআন শোনার জন্য জিনরা একত্রিত হয়েছিল, সে রাতে আমি জিনদের এ সূরা শুনিয়েছিলাম। তারা তোমাদের চেয়ে এর উত্তম জওয়াব দিচ্ছিল। যখনই আমি আল্লাহর তা’আলার এ বাণী শুনাচ্ছিলাম হে জিন ও মানুষ তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’ তখনই তারা জওয়াবে বলেছিলঃ ‘হে আমাদের বর, আমরা তোমার কোন নিয়ামতকেই অস্বীকার করি না। সব প্রশংসা কেবল তোমরাই।’

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি