ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানালো এনসিপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পর রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।  

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আজকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ এবং স্বাগত জানাচ্ছি। তারা তফসিল ঘোষণা করেছে, যা ইতিবাচক।সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে, ইসিরও সদিচ্ছা রয়েছে কিন্তু নিরপেক্ষতা এবং সক্ষমতার ঘাটতি স্পষ্ট।’

তিনি দাবি করে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্য সামনে এনে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান দায়িত্ব—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের পথে আছে। তাই তফসিল ঘোষণাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’

তবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করে বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগেই বিভিন্ন স্থানে এনসিপির নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে আমাদের তিনজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঢাকায় এনসিপির সংবাদ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে।’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘অতীতের নির্বাচনে যে পেশিশক্তি, গডফাদার সংস্কৃতি এবং টাকার প্রভাব দেখা গেছে, সেই প্রবণতা এবারও সক্রিয় হতে পারে। এই অবস্থা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন—তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের জন্য জনগণকে নিজ দায়িত্বে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কোনো দলীয় বাহিনী, সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ যাতে কেন্দ্র দখল করতে না পারে, সেজন্য জনগণই হবে ভোটকেন্দ্রের প্রকৃত রক্ষক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও দলের সন্দেহ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এএসপি ও ডিসিদের নিয়োগ লটারির মাধ্যমে দেওয়া হলেও প্রক্রিয়াটি অসচ্ছ। কারা নিয়োগ পাচ্ছেন, তার কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা জাতির সামনে নেই।’

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে সরকার যে প্রশ্নবোধক অবস্থা তৈরি করেছে, তা নিয়ে আমরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট উত্তর পাইনি।’

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচনি খরচ সীমা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয় এনসিপি। তিনি বলেন, ‘আমরা টাকার প্রভাব দূর করতে চাই। তাই নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা কঠোরভাবে মেনে চলব।’

ইসির কিছু উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তবে উদ্যোগের পাশাপাশি তাদের কর্মে নিরপেক্ষতার প্রমাণও দেখতে চাই।’

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি