ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

পিআইবিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন শাহ আলমগীর

প্রকাশিত : ১৯:১৮, ৩ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ০৯:১০, ১৯ মার্চ ২০১৯

শাহ আলমগীর

শাহ আলমগীর

সম্প্রতি না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পিআইবি`র মহাপরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলমগীর। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেন। নিজের মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাও রাখতেন শাহ আলমগীর। যার ফলে একদিকে সরকার ও অন্যদিকে সাংবাদিকরা তার উপর আস্থা রাখতে পারতেন। খুব অল্প সময়ে শাহ আলমগীর অনেক বেশী কাজ করেছেন। তার ক্যারিয়ারের বিশ বছরে তিনি যেসকল কাজ করেছেন ও উদ্যোগ নিয়েছেন অন্যকেউ তা করতে হলে সত্তর-আশি বছর লাগবে।

শাহ আলমগীর ভাইয়ের সাথে আমার যখন প্রথম পরিচয় তখন তিনি দৈনিক সংবাদে কাজ করতেন। সাব-এডিটর। বয়সে তরুণ। আমিও তরুণ। তার সঙ্গে আমার বয়সের পার্থক্য খুব একটা বেশি না। সময়টা নব্বই দশকের শুরুর দিকে। এরশাদ সরকারের পতন হয়েছে। আমি তখন বিভিন্ন সাপ্তাহিকে কাজ করি। উনি তখন সাংবাদিক ইউনিয়নে সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন। আমি তখনো সাংবাদিক ইউনিয়নে তেমন জড়াইনি। তবে রাজনৈতিক প্রবণতা ছিল। তবে যখন সাংবাদিক ইউনিয়নে আমি কাজ করা শুরু করলাম তখন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল। ১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। আমি তখন দৈনিক রূপালীতে কাজ করি। শাহ আলমগীর ভাই প্রায় আমাদের অফিসে আসতেন। আমাদের সেই যোগাযোগ, সেতুবন্ধন ওনার মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

পিআইবিতে যারা মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব ব্যক্তিত্ব শাহ আলমগীর। লেখালেখিতে, মানুষকে প্রমোট করার বিষয়ে, নেতৃত্বের জায়গা থেকে তিনি সবসময় সাংবাদিকতার স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। গণমাধ্যমকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, গণমাধ্যমকর্মীদের কীভাবে আরও প্রশিক্ষিত করা যায়, সর্বোতভাবে তাকে এই চেষ্টাটা করতে দেখেছি।

শাহ আলমগীর ভাই সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। যখন তিনি সাধারণ সম্পাদক তখন আমি তার কমিটির সদস্য। এরপরে তিনি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হলেন। তখনো আমরা তাকে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে পেয়েছি। অর্থাৎ পেশার কাজে তিনি কখনো অবহেলা করেননি। সাংবাদিকতায় যেমন সময় দিয়েছেন তেমনি ইউনিয়নেও সময় দিয়েছেন। আমার বিবেচনায় শাহ আলমগীর ভাই সেরা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

শাহ আলমগীর ভাই একজন ভাল প্রশাসক ছিলেন। দক্ষ প্রশাসক এই অর্থে তিনি যাকে পছন্দ করেন না তাকেও কীভাবে ভাল পথে নিয়ে আসা যায় এই চেষ্টাটা করতেন। কাউকে বাদ দেওয়ার নীতিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। কেউ অ্যাসাইনমেন্ট ফাঁকি দিলে সে যেন ফাঁকি না দিতে পারে সেই ব্যবস্থাটা তিনি করতেন। উনি প্রায়ই বলতেন, আমার কাজ হচ্ছে ব্যবস্থাপনার কাজ। কাউকে বাদ দেওয়া আমার কাজ না। যে নিষ্ক্রিয় হবে তাকে সক্রিয় করা আমার কাজ। শাহ আলমগীর বয়সের দিক থেকে আমাদের খুব বেশি সিনিয়র ছিলেন তা না। কিন্তু প্রজ্ঞা, মেধা ও এসব ব্যাপারে তিনি আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি সিনিয়র ছিলেন। দেখা গেল তিনি কাউকে পছন্দ করেন না। কিন্তু তাকে সেটা বুঝতে দিতেন না। তার অপছন্দের লোকদেরকেও তিনি যথাযথভাবে সম্মান করতেন, ট্রিট করতেন। যাকে অপছন্দ করেন তাকেই তিনি বিভিন্ন মিটিংয়ে আলোচক হিসেবে রাখছেন। সভাপতিত্ব করাচ্ছেন। যদি বলতাম, তাকে কেন আনলেন? তিনি বলতেন, "তাকে আমি অপছন্দ করতে পারি। সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তার পদ আছে। এ পদকে আমি অসম্মান করি কীভাবে? "এখানে এসেই শাহ আলমগীর ভাই ব্যতিক্রম।

যারা গ্রামীণ সাংবাদিকতা করেন বা মফস্বল সাংবাদিকতায় জড়িত শাহ আলমগীর ভাই ছিলেন তাদের চিকিৎসক। `চিকিৎসক` এই অর্থে যারা গ্রামে বা মফস্বলে সাংবাদিকতা করেন তারা তাদের জায়গায় দক্ষ ও বিজ্ঞ। কিন্তু তাদের কাজের যে ফাঁক, অর্থাৎ তাদের সাংবাদিকতায় যেখানে যত্ন দরকার সেখানেই হাত দিয়েছেন শাহ আলমগীর ভাই। যা আর কেউ করেননি। পিআইবি`র মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য অনেক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। অর্থাৎ যারা শুধু ব্যবহারিক সাংবাদিকতা করেছেন কিন্তু তত্ত্বীয় জ্ঞানের অভাব ছিল তাদের নিয়ে শাহ আলমগীর ভাই প্রচুর কাজ করেছেন। তাদের সেই ঘাটতি পূরণে তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমিও তিন বছর পিআইবি`র পরিচালক ছিলাম। তখন খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছি। আগে পিআইবিতে বছরে ত্রিশ পঁয়ত্রিশটা প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হতো। কিন্তু তিনি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় মাসেই এই সংখ্যা অতিক্রম করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি একশ`র উপরে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তৃতীয় মেয়াদে সেই সংখ্যা দেড়শ`র কাছাকাছি গিয়েছিল। উনি একসাথে তিনতিনটা ব্যাচের প্রশিক্ষণ নেওয়ানোর উদ্যোগ নিতেন। ফলে মফস্বলের সাংবাদিকদের লেখালেখি, চিন্তা বা সাংবাদিকতায় যে ক্ষতটা ছিল শাহ আলমগীর সেই ক্ষত সারাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

শাহ আলমগীর পিআইবি’র মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে পিআইবি অবহেলিত ছিল। গণমাধ্যম কর্মীদের, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সেখানে যাতায়াত ছিল সীমীত। কিন্তু শাহ আলমগীর বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

উনার উপর সরকারের বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রনালয়ের ভাল ভরসা ছিল। তথ্য মন্ত্রনালয়ের যেসব জটিল কাজ মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা করতে ব্যর্থ হতেন শাহ আলমগীর ভাই সেটাই করতেন। তাই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হওয়ার সাথে সাথে তাকেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়েছিল। এটা কিন্তু তথ্য মন্ত্রনালয়ের আলাদ একটা উয়িং। কিন্তু বাড়তি একটা দায়িত্ব শাহ আলমগীর ভাই নিয়েছিলেন। এবং খুব সুচারুভাবে তা পালন করেছেন।

তিনি বৈপ্লবিক কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন পিআইবি`তে। আমি পরিচালক থাকা অবস্থায় সেগুলোর সাক্ষী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পুরনো ভবনের পাশে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি সেটা ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন কাজটা আবার শুরু হয়। ২০১৩ সালে শাহ আলমগীর ভাই মহাপরিচালক হিসেবে পিআইবিতে যোগ দেন। যোগ দেওয়ার পর তিনি দেখেন ভবনেরর কাজ পুরোপুরি শেষ হয় নাই। প্রকল্পের মেয়াদও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় যে কাজ শুরু হয়েছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। উনি তখন খুব দ্রুত কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিলেন।

তিনি দেখলেন সেখানে অনেক ঘাপলা আছে। শাহ আলমগীর ভাই তার কয়েকজন প্রকৌশলী বন্ধু নিয়ে কাজটি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখলেন বেশ কিছু অনিয়ম সেখানে হয়ে গেছে। যেমন ধরুন, যে ফ্যান দেওয়ার কথা ছিল সেই ফ্যান দেওয়া হয় নি। যে সকল সরঞ্জামাদি বা সিমেন্ট ব্যবহার করার কথা ছিল তা হয় নি। শাহ আলমগীর ভাই ঐ ঠিকাদারকে বাধ্য করলেন অনেককিছু নতুন করে করার জন্য। খুব স্বল্প সময়ে সেই ভবনের কাজ হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই ভবনের কাজ উদ্বোধন করেন।

তিনি আরেকটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন। সাংবাদিকতার ইতিহাসে শাহ আলমগীর ভাইয়ের নাম এই কারণে চিরকাল সাংবাদিকরা স্মরণ রাখবে। সেটা হলো, পিআইবি`তে সাংবাদিকদের একটা কোর্স ছিল। ডিপ্লোমা কোর্স। আওয়ামীলীগ যখন ১৯৯৬- ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিল তখন এটাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক মর্যাদা দান করে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর স্নাতক মর্যাদা কেড়ে নিয়ে আবার আগের মতো ডিপ্লোমা কোর্স করে দেয়। এর ফলে যারা শিক্ষার্থী ছিল, যারা সেখানে তিন বছর পড়াশুনা করেছে তাদের সময়টা নষ্ট হলো এবং তারা ক্ষুব্ধ হলো। কিন্তু অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পরেও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হয় নি। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করে স্নাতক মর্যাদা আদায় করা হয়। শাহ আলমগীর ভাই পিআইবি তে মাষ্টার্স কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে পিআইবিতে মাষ্টার্স অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী চালু আছে।

শাহ আলমগীর ভাই পিআইবিতে একই সঙ্গে প্রচুর গবেষণামূলক কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বঙ্গবন্ধু নিয়ে, আমাদের সংবাদপত্রের বিকাশ নিয়ে, সংবাদপত্রের অগ্রগতি নিয়ে তিনি বেশকিছু কাজ করেছেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া নিয়ে তিনি অনেকগুলো কাজ করেছেন। আরও অনেকগুলো কাজ চলমান আছে। একটি ভাল ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া করতে গেলে কী ধরণের কর্মী দরকার, মালিকের মানসিকতা কেমন হওয়া দরকার, বিনোদন কতটুকু থাকা দরকার, নিউজ চ্যানেল হলে সেটার পরিকল্পনা কেমন হওয়া দরকার- এরকম অনেকগুলো নীরীক্ষামূলক কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। কোন কোনটি শেষ হয়েছে। কোনটি চলমান আছে।

শাহ আলমগীর ভাই সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন কিশোর বাংলা দিয়ে। এরপর তিনি আজাদ, সংবাদ, জনতা পত্রিকায় তিনি কাজ করেছেন। আজকের যে প্রথম আলো, যেটা মতিউর রহমান সম্পাদনা করছেন, বলা যায় এটা অন্যতম কারীগরদের একজন ছিলেন শাহ আলমগীর ভাই। জয়েন নিউজ এডিটর হিসেবে তিনি প্রথস আলোতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় চলে যান। আমাদের দেশে বেসরকারী ভাবে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার শুরুর সময়টাতে তিনি চ্যানেল আই’তে বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। চ্যানেল আইয়ের প্রথম নিউজ তার হাত দিয়েই যায়। পরে তিনি আসেন একুশে টেলিভিশনে। সেখান থেকে যান যমুনা টেলিভিশনে। একেবারে গোড়াপত্তনে। এরপরে যান মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে। মাছরাঙ্গা`র একেবারে শুরুর সময়।

সেখান থেকে এশিয়ান টেলিভিশনে। এরপরে তিনি পিআইবি`তে যোগ দেন মহাপরিচালক হিসেবে। একটা কথা না বললেই নয়। তথ্যমন্ত্রী ছিলেন হাসানুল হক ইনু। তিনি জাসদ করতেন। পক্ষান্তরে শাহ আলমগীর ভাই ছাত্র ইউনিয়ন করে এসেছেন। কিন্তু আমরা দেখলাম, মন্ত্রী সবচেয়ে বেশী পছন্দ করতেন শাহ আলমগীর ভাইকে। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রসঙ্গে ইনু ভাই বলতেন, শাহ আলমগীর প্রচুর জানে। তার উপর ভরসা করা যায়।

তবে শাহ আলমগীর ভাইয়ের দুটি স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে। একটি স্বপ্ন হলো তিনি চেয়েছিলেন নিজে প্রধান হয়ে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল নিজের মতো করে পরিচালনা করবেন। একথা তিনি সবমময় বলতেন। তিনি বলতেন, আমার যে অভিজ্ঞতা, আমি যা শিখেছি তা সেই টেলিভিশনে প্রয়োগ করব। কিন্তু তিনি সেই সময়টুকু আর পান নি। ওনার আরেকটি স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় বিদেশী গণমাধ্যমগুলোর কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে, অর্থাৎ পেপার কাটিংগুলো নিয়ে একটা আর্কাইভ করার স্বপ্ন তিনি দেখতেন। এ ব্যাপারে কাজ খানিকটা এগিয়েছিল। কিন্তু শেষ করার সময়টুকু তিনি পাননি।

শাহ আলমগীর ভাই সাংবাদিকদের কাছে একটি বাতিঘর। একটি আশ্রয়। আমরা অকালে তাকে হারালাম। তার অভাব পূরণ হবার নয়। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।

(লেখক: কুদ্দুস আফ্রাদ। সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ডিইউজে। নির্বাহী সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাব)

আআ/এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি