ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

পুরান ঢাকায় ২শ ধরনের রাসায়নিকের মজুদ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ২ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫২, ২ মার্চ ২০১৯

পুরান ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে রাসয়নিকের আগুনে প্রায় ২’শ মানুষের মৃত্যু হলেও ঘুম ভাঙেনি কারো। এতো মৃত্যুর পরও গত দশ বছরেও কেন সরেনি কেমিকেলের কারখানা ও গোডাউন? এ প্রশ্নটিই এখন সামনে চলে এসেছে। যথারীতি এই মৃত্যুর দায়ও নেয় না কেউ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পুরান ঢাকায় যে পরিমান কেমিকেলের কারখানা ও গোডাউন তাতে বলাই যায় বোমার ওপরেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাস। কর্তৃপক্ষ বলছে, কেমিকেল সরানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে। দেখার আমন্ত্রণ রইলো

প্রায় চারশ’ বছরের পুরনো শহরের এই অংশটি মূলত পাইকারি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। ঘিঞ্জি এলাকায় আবাসিক ভবনেই আছে কেমিকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের গুদাম।

এখানে ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২শ’ ধরনের রাসায়নিকের মজুদ আছে। পুরান ঢাকার এসব গুদামে রয়েছেÑ গ্লিসারিন, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মিথাইল, ইথাইল, কাইটন, থিনারসহ রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ।

২০১০ সালের ৩ জুন ভয়াবহ আগুন গুদাম আর বাসা-বাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ হারায় ১২৪ জন।

এরপরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কেমিকেল ও দাহ্য পদার্থ সরানোসহ দুর্ঘটনা রোধে ১৭ দফার সুপারিশ করে। কিন্তু গেলো ১০ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

পুরাণ ঢাকা এখন যে মুত্যুপুরি এর প্রমাণ গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায়। আগুনের লেলিহান শিখা মুর্হুতেই কেড়ে নেয় ৬৭টি তাজাপ্রাণ।

ট্রাজেডির পর শুরু হয়েছে গোডাউন সরানোর কার্যক্রম। তবে, এটি কতটা সফল হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়। 

তবে, পুরনো ঢাকায় ব্যবসা করার ঠুনকো যুক্তিও দেখান কেউ কেউ।

পুরান ঢাকার ৮০ শতাংশ বাড়ির নিচতলায় বিভিন্ন বিপজ্জনক দাহ্য রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন টাস্কফোর্স।

পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিকেল গোডাউন ও কারখানা সরানো হবে বলে জানান দক্ষিণ সিটির মেয়র।

স্থানীয়দেও দাবি, অভিযান শেষে আবারো যেনো কেমিকেল গোডাউন গড়ে না ওঠে।


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি