ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রাণ খুলে হাসুন, বেশি দিন বাঁচুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ৭ আগস্ট ২০১৯

চিকিৎসকরাও তো বলেনই আবার একাধিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে হাসি শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ জন্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লাফিং ক্লাব পর্যন্ত খুলেছে। অন্তত একবার হলেও প্রাণ খুলে হাসুন প্রতিদিন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।

হাসলে যে শুধু মন নয়, শরীরও ভাল থাকে এ কথা আমরা অনেকেই জানি। তেমনি দীর্ঘ গবেষণার পর ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ডঃ লি বার্ক এবং ডঃ স্ট্যানলি ট্যান প্রাণ খুলে হাসার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতার কথা তাদের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন। 

এবার সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

রক্তচাপ কমায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাসার সময় আমাদের সারা শরীরে রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। শরীরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই হলো প্রাণ খুলে হাসি।

হার্ট ভাল থাকে

প্রাণ খুলে হাসলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় হার্টের কার্যক্ষমতাও। সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ মাত্রা বেড়ে গিয়ে চাঙ্গা হয়ে ওটে আমাদের হৃদযন্ত্র। ফলে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।

স্ট্রেস কমায়

হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। এটি কর্টিজল হরমোনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। ফলে মানসিক, শারীরিক চাপ বা অবসাদ বোধ দ্রুত ক্ষিণ হয়ে আসে।

ফুসফুস ভাল রাখে

যখন আমরা হাসি, তখন ফুসফুস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। ফলে আমাদের ফুসফুস বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরে ওঠে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও।

মন ও শরীরের ব্যায়াম

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত বার্ন হতে থাকে। হাসার সময় চাপ পড়ে পেটে। ফলে পেটের মেদ দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই হাসি। গবেষকদের মতে, ১০০ বার হাসলে তা ১০ মিনিট দ্রুত নৌকা চালানো অথবা ১৫ মিনিট জোরে সাইকেল চালানোর সমান।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

রাগ, হতাশা বা দুঃখ কমিয়ে দ্রুত মন ভাল করতে হাসির বিকল্প মেলা ভার! মানসিক চাপ বা অবসাদ কমাতে বিশেষজ্ঞরা তাই হাসির দাওয়াইয়ের কথাই বলে থাকেন।

টি-সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

টি-সেল বা এই বিশেষ কোষের শক্তি যত বাড়ে, তত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কমে যায় অসুখ-বিসুখে ভোগার আশঙ্কা।

এএইচ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি