ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

মমতা মানুষকে মানবিক করে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৪, ৩০ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ২২:৪৯, ৩০ অক্টোবর ২০২০

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। আজকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর এই শুভ জন্মদিনে আমরা পরম করুণাময়ের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবং করুণাময়ের প্রতি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তিনি আমাদের মাঝে মহানবীর মতো এরকম মহামানবকে প্রেরণ করেছেন। যিনি অহিংসা এবং মানবাধিকারের সফল রূপকার ছিলেন।

আসলে তিনি এসেছিলেন বলেই অহিংসা এবং মানবাধিকারের স্বরূপ। অসাধারণ মমতা নিয়ে মানুষের জীবনকে সুখ ও শান্তিতে ভরিয়ে দেয়ার জন্যে মমতা অসাধারণ একটি উপকরণ। এই মমতাই আসলে মানুষকে মানবিক করে, সত্যিকার মানুষে রূপান্তরিত করে। নবীজীর জীবনে মমতা, সমমর্মিতা, সহিষ্ণুতার কিছু ঘটনা, অনেক ঘটনাই আমরা জানি, তারপরও আবার বলার মধ্য দিয়ে আমরা আবারো উজ্জীবিত হতে চাই। আসলে নবীজীবন নিয়ে যারা আমরা পড়ি, সেটা যতবার শুনি মনে হয় নতুন করে শুনছি। প্রতিবার পড়া বা প্রতিবার শোনার পর নবীজীবনের ঘটনাগুলো আমাদের মধ্যে নতুন উপলব্ধি, নতুন সাহস, নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আসে। এবার তাহলে আমরা প্রিয় নবীর মমতাময় জীবনের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে শুরু করি।  

বঞ্চিতের প্রতি তার মমতা: যে মানুষটি ভ্রূণ থেকেই কষ্টস্বীকার করেছেন, বঞ্চনা দেখেছেন; স্বাভাবিকভাবেই বঞ্চিত, অবহেলিত, নিপীড়িত মানুষের কষ্ট তিনি অনুভব করতে পারেন। তাই তো নিজেকে সবসময় তাদের মাঝেই রাখতে পছন্দ করতেন তিনি। একবার এক বেদুঈন এসে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রসুলুল্লাহ আপনাকে যদি মদিনাতে মসজিদে নববীতে না পাই তাহলে কোথায় খুঁজব? তিনি বললেন যে, গরিবদের মধ্যে শ্রমিকদের মধ্যে আমাকে খুঁজবে, সেখানে আমাকে পাবে। অর্থাৎ সবসময় তিনি মেহনতি মানুষের সাথে ছিলেন, সবসময় তিনি বঞ্চিত মানুষের সাথে ছিলেন।

তিনি নিজে লেখাপড়া করতে পারেন নি, কিন্তু অক্ষরজ্ঞান থেকে অন্যরা যেন বঞ্চিত না হয়, সেজন্যে তিনি কতখানি আগ্রহী ছিলেন তা বোঝা যায় একটি ঘটনা থেকে। বদরের সংঘর্ষে যারা বন্দি হয় তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া জানে, তাদের ক্ষেত্রে মুক্তিপণ হিসেবে তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন যে, তারা ১০ জন নিরক্ষরকে অক্ষরজ্ঞান দান করবে। তাহলে তারা মুক্তি পাবে। তিনি অক্ষরজ্ঞান লাভ করার সুযোগ পান নাই। কিন্তু অক্ষরজ্ঞানের যে মূল্য, যারা অক্ষরজ্ঞান থেকে বঞ্চিত, তাদের শেখানোকে তিনি কত গুরুত্ব দিয়েছেন। 

তিনি এতিম ছিলেন, দাদার মৃত্যুর পরে চাচা তার দায়িত্ব নেন। সেই চাচাই যখন ব্যবসায় মন্দাবস্থার কারণে বড় সংসার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন নবীজীর প্রস্তাব অনুসারে ধনাঢ্য চাচা আব্বাস দায়িত্ব নিলেন আবু তালিবের এক পুত্র জাফরের। আর তিনি নিজে নিলেন আরেক পুত্র আলীর দায়িত্ব। ফলে অনেকটা নির্ভার হলেন আবু তালিব। তখন স্ত্রী-চার কন্যা-পালকপুত্র জায়েদ-পরিজন নিয়ে তার পয়মন্ত সংসার। পয়মন্ত সংসারে যুক্ত হলো পাঁচ বছর বয়সী চাচাতো ভাই আলী।

বিয়ের পর মা খাদিজা তাকে উত্তর আরবের কালব গোত্রের জায়েদ নামক এক কিশোর দাসকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। গোত্রীয় হানাহানির পরিণতিতে প্রতিপক্ষ জায়েদকে অপহরণ করে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছিল। কিন্তু পিতা হারিসা ইবনে সারাহিল পুত্র জায়েদকে খুবই স্নেহ করতেন। বহু অনুসন্ধানের পর পুত্রের খোঁজ পেয়ে ভাইকে সাথে নিয়ে তিনি মক্কায় উপস্থিত হলেন। পুত্রের বর্তমান মালিকের কাছে তারা যে-কোনো মূল্য দিয়ে পুত্রকে কিনে নেয়ার প্রস্তাব করলেন। মুহাম্মদ তাদের কাছে পাল্টা প্রস্তাব দিলেন দেখুন, কোনো মূল্য দিতে হবে না। আমি জায়েদকে আপনাদের সামনে ডাকব। সে যদি আপনাদের সাথে যেতে চায়, স্বাধীন মানুষ হিসেবে আপনাদের সাথে চলে যাবে। আর যদি আমার সাথে থাকতে চায়, তবে আমি তাকে পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ করব। আপনারা কি এই প্রস্তাবে সম্মত?
দুজনই একবাক্যে সম্মতি জানালেন। কারণ তারা নিশ্চিত ছিলেন জায়েদ তাদের সাথেই যাবে। নবীজী জায়েদকে ডাকলেন। 

জায়েদ এলে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এদেরকে তুমি চেনো? জ্বী! জায়েদের উত্তর। একজন আমার পিতা আর একজন আমার চাচা। তখন তিনি বললেন, তুমি এখন মুক্ত। এদের সাথে কথা হয়েছে, তুমি ইচ্ছে করলে এদের সাথে যেতে পারো আবার ইচ্ছে করলে আমার সাথে থাকতে পারো। আমার সাথে থাকলে আমি তোমাকে পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ করব। বাবা ও চাচাকে হতবাক করে জায়েদ বলল, আমি কাউকে আপনার ওপরে স্থান দিতে পারি না। আপনি আমার বাবা ও মা। আপনার কাছে আমি যে মমতা পেয়েছি, তাতে কাউকেই আপনার ওপরে স্থান দেয়া সম্ভব নয়। আমি এদের সাথে যাব না, আপনার সাথে থাকব। তিনি তখন কাবা চত্বরে নিয়ে গিয়ে জায়েদকে পালকপুত্র বলে ঘোষণা দিলেন। সামান্য ঘটনা! কিন্তু এ ঘটনাই বলে দেয় নবী হওয়ার আগেই নিপীড়িত-লাঞ্ছিতের কত নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

প্রবীণের প্রতি মমতা: একবার নবীজী মদিনার একপথ দিয়ে যাচ্ছেন। এক বৃদ্ধ ভিক্ষা করছে, খুব দুর্বল। তিনি কাছে গিয়ে আশপাশে যারা ছিলেন তাদের জিজ্ঞেস করলেন এই বৃদ্ধ ভিক্ষা করছে কেন? তাকে দেখাশোনা করার কি কেউ নাই? একজন বলল যে, এই বৃদ্ধ তো ক্রিশিয়ান। তার যারা ছেলেমেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার ছেলেমেয়েরা তাকে দেখাশোনা করছে না এবং তার নিজেরও কোনো কর্মক্ষমতা নাই। নবীজী বললেন, যখন তার যৌবন ছিল তার শ্রম থেকে সমাজ উপকৃত হয়েছে মানুষ উপকৃত হয়েছে আজকে সে অক্ষম তাকে দেখার দায়িত্ব সমাজের এবং তিনি তার প্রতিপালনের ব্যবস্থা করলেন। খেয়াল করবেন, এই বৃদ্ধ ক্রিশিয়ান ছিলেন এবং নবীজী না ইহুদি না ক্রিশিয়ান না মূর্তিপূজক-সেবার ক্ষেত্রে কখনোই বাছবিচার করেন নাই। 

রসুলুল্লাহ (স) খুব পরিষ্কার বলেছেন, তুমি যদি পেট পুরে খাও আর তোমার প্রতিবেশী যদি অভুক্ত থাকে তাহলে তুমি বিশ্বাসী নও। এই প্রতিবেশী যে-কেউ হতে পারে, প্রতিবেশী হলেই হলো, সে মুসলমান হোক হিন্দু হোক বৌদ্ধ হোক ক্রিশ্চিয়ান হোক। মানুষের প্রতি এই যে ভালবাসা, এই ভালবাসার শিক্ষাই হচ্ছে নবীজীর শিক্ষা। 

মজলুমের প্রতি মমতা: তখন নবীজী রাষ্ট্রপ্রধান। মসজিদে নববীতে জুমার খুতবা দিচ্ছেন। সবাই চুপচাপ খুতবা শুনছেন। এমন সময় হঠাৎ একজন উঠে দাঁড়িয়ে বলল ইয়া রসুলুল্লাহ, আমার একটি প্রশ্ন আছে, আমার প্রতিবেশীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু কী কারণে তাকে আটক করেছে আমি জানতে চাই। নবীজী খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি বসে গেলেন এবং যার জবাব দেয়ার জন্যে এ দায়িত্বে যিনি ছিলেন তার দিকে তাকালেন। কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে আবার উঠে দাঁড়ালেন। নবীজী খুতবা দিতে শুরু করবেন, আবার সেই লোকটি দাঁড়াল, বলল যে, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমি আমার প্রশ্নের জবাব পাই নাই। নবীজী আবার বসে পড়লেন। আবার তার দিকে তাকালেন। আবার উঠে দাঁড়ালেন। তৃতীয়বার যখন সে বলল, যে নবীজী আমি কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব পাই নাই। তখন নবীজী বুঝলেন, যে আটক করেছে তার জবাব দেয়ার মতো কোনো জবাব নাই। অভিযোগকারীই সঠিক। এবং তিনি নির্দেশ দিলেন যে যাকে আটক করা হয়েছে তাকে মুক্ত করে দেয়া হোক। তারপর তিনি তার খুতবা শেষ করলেন। এবং এ থেকে বোঝা যায় যে তিনি মজলুমের প্রতি কত মমতাময় ছিলেন। 

প্রাণির প্রতি মমতা: রাখাল হিসেবে মরুভূমিতে মক্কাবাসীদের মেষ, ছাগল, উট, ঘোড়া চড়াতেন স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। পশুপ্রেমিক এই কিশোরের প্রেমে পড়ে যায় পশুরাও। সহজেই পরিচালিত হতো তার ইঙ্গিতে বা আওয়াজে। সমবয়সী চাচা ও বন্ধু হামজা দুর্ধর্ষ শিকারি হলেও তিনি কখনো প্রাণি শিকারে অংশ নেন নি। তাই প্রাণির ভালবাসাও তিনি পেয়েছেন প্রতিটি সংকটকালে। তিনি আসলে যে শুধু মানুষের জন্যে রহমত হিসেবে এসেছেন, করুণা হিসেবে এসেছেন, তা না। পশুপাখির জন্যেও করুণা হিসেবে এসেছেন। যে কারণে মোরগ হোক বা ষাঁড় হোক, যে-কোনো জীবজন্তুর লড়াইকে অত্যন্ত জঘন্য কাজ হিসেবে বর্ণনা করে নিষিদ্ধ করেছেন। আমরা সে ঘটনার কথা জানি যে, এক মহিলা তৃষিত কুকুরকে পানি দিয়ে তার জীবন রক্ষা করেছিলেন। নবীজী বলেছিলেন যে, এই মহিলা হচ্ছে বেহেশতি। আবার আরেক মহিলা বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিলেন, খাবার দেন নাই এবং সেই বিড়ালটি মারা গিয়েছিল। নবীজী বলেছেন যে, এই মহিলা হচ্ছে দোজখি। কেউ যদি কোনো প্রাণিকে পোষেন, বেঁধে রাখেন তো এটার লালনপালন করা, খাওয়াদাওয়া দেয়ার দায়িত্ব তার। কারো ঘরে রাখা অবস্থায় যদি অযত্নে কোনো প্রাণি মারা যায় তো এটার দায়িত্ব থেকে তিনি কখনো মুক্তি পাবেন না। কোনো পশুর মুখে প্রহার না করতে বা গরম ছ্যাকা দিয়ে নম্বর চিহ্নিত করতেও স্পষ্টভাবে না করে দিয়েছেন নবীজী। এবং এই যে চাঁদমারি মানে নিজের নিশানা প্রাকটিস করার জন্যে প্রাণি ব্যবহার করা, পাখি ব্যবহার করা, এটিও তিনি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।  

কন্যাশিশুর প্রতি মমতা: নবীজী তার মেয়েদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহবৎসল পিতা ছিলেন। আমরা নবী নন্দিনী ফাতেমার কথা জানি। ফাতেমা যেমন ছিলেন লাজুক ও বিনয়ী, তেমনি ছিলেন সত্যবাদী ধৈর্যশীল ও সাহসী। নবীজী ফাতেমাকে তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, যে ফাতেমাকে কষ্ট দিল, সে আমাকে কষ্ট দিল। চলনেবলনে তিনি ছিলেন নবীজীর মতোই। যখন ফাতেমা নবীজীর কাছে আসতেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে তাকে সম্ভাষণ জানাতেন, চুমু দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন। নবীজীও যখন কন্যার সাথে দেখা করতে আসতেন, তখন ফাতেমা বসা থাকলে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতেন, বাবার হাত ধরতেন, চুমু দিতেন এবং তারপর নিজের জায়গায় বসাতেন।

নবীজী আসলে সবচেয়ে বেশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছিলেন নারীশিশুর প্রতি। তিনি বলেছেন, যে একটি কন্যাশিশুকে লালন করল, তাকে আলোকিত মানুষ করল, তাকে শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে জ্ঞানী করল, এই কন্যাশিশুই তার এবং দোজখের মধ্যে একটা দেয়াল হিসেবে কাজ করবে। আসলে এখন যে গর্ভাবস্থায় মেয়েশিশু জেনে তা এবোরশন করা হয়, তা তো সেই আরবে জীবন্ত মেয়েশিশু পুঁতে ফেলার মতোই ভয়াবহ একটি কাজ। এ-কাজ থেকে বিরত থেকে মেয়েশিশুকে ছেলেশিশুর মতোই সমযত্নে লালনপালন করার গুরুত্ব তিনি তুলে ধরেছেন। পরম করুণাময়ের কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে, লামাতে আমরা মেয়েশিশু ও ছেলেশিশুদের লালনপালনের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সবার সহযোগিতায়। কেউ সহযোগিতা করছেন দান করে, কেউ করছেন দোয়া করে, কেউ সরাসরি সেই এতিম, অনাথ শিশুদের পাশে থেকে।  
পাঁচ বছর বয়সে আপন মাকে হারিয়েছিলেন। তাই দুধমা হালিমার প্রতি মমতা ও সম্মান দেখানোতে তিনি ছিলেন সবসময় অগ্রগামী। একবার মা হালিমা এসেছেন দেখা করতে। তিনি তাকে নিজের চাদর বিছিয়ে দিয়েছেন বসার জন্যে। এবং হালিমার যেহেতু বয়স হয়েছে, দাঁত নাই। খেজুরের বিচি বের করে সেই খেজুর তার মুখে তিনি তুলে দিয়েছেন।

আবার সেই বেদুঈনের কথা ভাবুন, মসজিদে পেশাব করে দিয়েছে। যেখানে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতাকে ঈমানের অঙ্গ হিসেবে নবীজী সবাইকে শিখিয়েছেন। তাকে পেশাব করতে বাধা দিতে সাহাবীরা যখন উঠতে যাচ্ছিলেন, নবীজী তাদেরকে থামালেন। কত মমতা দেখুন! কেউ পেশাব করা শুরু করে দিলে তাকে থামানোটা তার জন্যে খুব কষ্টকর এটা তিনি বুঝেছিলেন। সে পেশাব করা শেষ করলে তাকে ডেকে নরমভাবে বললেন যে, এ কাজের জন্যে মসজিদ নয়। এ কাজটি মসজিদের বাইরে দূরে গিয়ে করতে হয়। আর সাহাবিদের বললেন, সেখানে বালু এনে ছিটিয়ে দিতে। দেখুন, সেই বেদুঈনকে কিন্তু তার ভুলের মাশুল দিতে বাধ্য করেন নি যে, তুমি নোংরা করেছো, এখন তুমি পরিষ্কার করো। 

সেইসাথে বিদায় হজের বাণীকে যখনই সময় পাই আমরা যেন শুনি। আসলে একজন মানুষ তার শেষ বিদায়ের আগে যে কথাগুলো বলেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমাদের জীবনের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আমরা পাই বিদায় হজের কথাগুলোতে। মানবপ্রেমের কারণে, সৃষ্টির কল্যাণের কারণে তিনি মানুষকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যে অধিকার দিয়েছেন সেই অধিকারের কথাগুলোই বলেছেন বিদায় হজে। যত তা শুনব তত আমরা অনুভব করব যে তিনি আমাদের কত ভালবেসেছেন, আমাদেরকে বলেছেন মানুষকে ভালবাসতে। শুনতে শুনতে আমরাও হৃদয়ের গভীর থেকে অনুভব করব যে, আমরা তাকে আরো বেশি ভালবাসতে শুরু করেছি। অনেক ধন্যবাদ এত মনোযোগ দিয়ে আলোচনা শোনার জন্যে। ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি