ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মাথাধরা কমাতে চন্দন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪১, ৮ অক্টোবর ২০১৮

চন্দনে রয়েছে বিভিন্ন ওষুধী ব্যবহার। এছাড়া চন্দন দিয়ে ত্বকের রূপচর্চার জন্য ব্যবহৃত হয়। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে এর ওষুধী গুণাবলি তুলে ধরেছেন। তা একুশে টিভি অনলাইনে তুলে ধরা হলো-

১) আধুনিক ভেষজ শাস্ত্রে রক্তচাপ ও মাথাধরা কমাতে এবং ব্রঙ্কাইটিস সারাতে মূলত শ্বেতচন্দন ব্যবহৃত হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা ব্রঙ্কাইটিস রোগে প্রতিদিন সকালে সাত-আটটি তুলসী পাতা খেয়ে এক ঘণ্টা পর আধা কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ শ্বেতচন্দন ঘষা পানি খেলে ধীরে ধীরে রোগের উপশম হয়।

২) চন্দনের সঙ্গে হলুদ বাটা ও কর্পুর কিংবা দারু হরিদ্রা মিশিয়ে শরীরে মাখলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যায়।

৩) শ্বেতচন্দন ঘষা পানির সঙ্গে কর্পুর মিশিয়ে মাথায় ঘষলে মাথা ধরার উপশম হয়।

৪) বসন্ত রোগ হলে সাধারণত রোগীর পিপাসা বেড়ে যায়। এ সময় বিশদ্ধ পানিতে শ্বেতচন্দন ও মৌরি ভিজিয়ে রোগীতে খাওয়ালে পিপাসা কমে যাবে।

৫) অন্য কোন ওষুধে কাজ না হলে তিন/চার গ্রাম আমলকি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে দুই ঘণ্টা পর ছেঁকে নিয়ে সেই পানিতে আধা চামচ পরিমাণ শ্বেতচন্দন ঘষা ও একটু চিনি মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেলে বমি বমিভাব কেটে যায়।

৬) আবার বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে চাল ও চন্দন মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে মিশ্রণটি ছেঁকে দুই ঘণ্টা পরপর খেলে হিক্কা ওঠা বন্দ হয়।

৭) প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় ঢেঁকিছাঁটা চাল ধুয়ে সেই পানিতে শ্বেতচন্দন ঘষে তার সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের জ্বালা অথবা আটকে যাওয়া কিংবা রক্ত প্রস্রাবেও সুফল পাওয়া যাবে।

৮) যে কোন চর্মরোগাক্রান্ত অংশে প্রতিদিন শ্বেতচন্দনের প্রলেপ মাখলে শিগগিরই উপকার পাওয়া যায়।

পরিচিতি : চন্দন ছোট থেকে মাঝারি ধরনের চিরহরিৎ বৃক্ষ। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা এবং দুই থেকে চার মিটার পর্যন্ত বেড় হয়। চন্দন একটি আংশিক মূল পরজীবী উদ্ভিদ। ঘন সবুজ ছোট পাতার ডালের সঙ্গে মুখোমুখি গজায়। গাছের ছাল গাঢ় খয়েরী এবং বড় গাছের বাকলে লম্বালম্বিভাবে ফাটল থাকে। ৪০-৬০ বছরের পরিপক্ক চন্দন গাছের সারঅংশ বাদামী এবং সুগন্ধিযুক্ত। একাধারে সুগন্ধ ও অন্যদিকে ওষুধী গুণের জন্যই চন্দনের এত কদর ও সুখ্যাতি। গাছের অসার অংশ এবং গন্ধহীন।

 

/কেএনইউ/এসএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি