মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম জানাজা বেগম খালেদা জিয়ার
প্রকাশিত : ২৩:০৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা শুধু দেশেই নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে কোনো নারীর জানাজায় বৃহত্তম উপস্থিতির এক নতুন নজির স্থাপন করেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় লাখো মানুষ প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানান।
সংসদ ভবন ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষের তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জানাজা। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনবাহী গাড়িটি বেলা পৌনে ১২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছায়।
জানাজার আগে গুলশানের বাসায় মায়ের কফিনের পাশে বসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন তাঁর বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানাজায় তাঁর সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জানাজায় শরিক হন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজা শুরুর আগে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বক্তব্যের অংশ বিশেষ লাউডস্পিকারে শোনানো হয়, যা উপস্থিত জনতাকে আবেগে ভাসিয়ে দেয়।
জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাজধানীতে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন এই মহীয়সী নেত্রী। তাঁর প্রয়াণে বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি এবং বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হচ্ছে। ইতিহাসের এই বৃহত্তম জানাজা শেষে ঢাকাবাসী ও দেশবাসী এক স্তব্ধ শোকের মধ্য দিয়ে প্রিয় নেত্রীর চিরবিদায় প্রত্যক্ষ করল।
এমআর//
আরও পড়ুন










