ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

যে ১০ পেশায় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৩, ১ আগস্ট ২০১৮

বিভিন্ন কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তবে বেশির ভাগ দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের চেয়ে কিছু পেশাজীবী মানুষদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া শরীরচর্চা না করা কিংবা খাদ্যভ্যাসের কারণেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।

যেসব পেশার মানুষরা ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে সেসব পেশার কথা উল্লেখ করা হলো-

১) কেবিন ক্রু ও পাইলটদের

কেবিন ক্রুদের বেশিরভাগই নারী। অন্যান্য পেশাজীবী নারীর তুলনায় তাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেশি। ৩০ শতাংশের মধ্যে স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেহেতু বিমান সেবিকারা অনেক সময় বায়ুস্তরে কাটান। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি বায়ুস্তর ভেদ করে পৃথিবীতে আসে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বায়ুস্তরের যত উপরে ওঠা যায়, এই ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাব ততই বাড়তে থাকে। ফলে এ সমস্যা দেখা দেয়। পাইলট যারা তাদের ক্ষেত্রেও একই বিষয়।

২) ল্যাব টেকনিশিয়ান

ল্যাবরেটরিতে কাজ করলে, বিশেষ করে বেনজিন নিয়ে কাজ করলে নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। একইভাবে কিছু ফ্যাক্টরি কর্মী এবং হাউজ ক্লিনারদেরও ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩) রাতের শিফটে যে কোনো কাজ

রাতে কাজ করলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ঘুমের চক্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণেও বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি।

৪) খনি শ্রমিক

খনিতে কাজ করা এমনিতেই বিপজ্জনক। যে কোনো সময়ে ধস নেমে মাটি চাপা পড়তে পারেন কর্মীরা। কিন্তু এখানে তারা ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী পদার্থের সংস্পর্শেও আসেন বেশি। যেমন- অ্যাসবেস্টস, ইউরেনিয়াম এবং রেডন। এছাড়া ড্রিলিং মেশিন থেকে আসা ডিজেলের ধোঁয়া থেকেও লাং ক্যান্সার হতে পারে।

৫) নির্মাণ কর্মী

 

ছাদ এবং সড়ক নির্মাণে উত্তপ্ত পিচ বা টার ব্যবহার করার কারণে নির্মান শ্রমিকদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যারা গ্লাভস পরেন না এবং ত্বক পুড়ে যায়, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ে।

৬) দমকল কর্মী

দমকল কর্মীদের নিয়মিতই আগুন, ধোঁয়া এবং বিল্ডিংয়ের ধুলোবালির মাঝে কাজ করতে হয়। এসব পুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়া তৈরি করে। এই ধোঁয়ায় নিশ্বাস নেওয়ার কারনেই তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

৭) কৃষক

কৃষকরা ক্ষেতে সারাদিন কীটনাশক দেন। তারা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুব একটা সতর্ক থাকেন না। ফলে ক্যান্সার তাদেরই বেশি হয়। যেমন লিউকেমিয়া, নন-হজকিনস লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়েলোমা, সারকোমা, স্টমাক, ব্রেইন, প্রস্টেট এবং স্কিন ক্যান্সার।

৮) ম্যানিকিউরিস্ট ও হেয়ার ড্রেসার

পার্লারে গিয়ে নখে সুন্দর করে নেইলপলিশ দেন অনেকে। যে ব্যক্তি এই নেইলপলিশ দিয়ে দিচ্ছেন, তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ তিনি সারাদিন অনেকের নখে নেইলপলিশ দিচ্ছেন। এতে তাদের ত্বক এবং নাকমুখ দিয়ে ক্রমাগত রাসায়নিক প্রবেশ করছে। এতে ক্যান্সারের পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। একইভাবে যারা চুলে রঙ করিয়ে দেন তাদের হেয়ার ডাই থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রবেশ করে শরীরে। তাদের উচিৎ সবসময় ফুলহাতা পোশাক, গ্লাভস এবং মাস্ক পরা।

৯) যে কোনো ডেস্ক জব

সারাদিন বসে বসে যে কোনো কাজ করাই কোলন এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে একটানা বসে কাজ না করে ঘন ঘন সিট থেকে উঠে হাঁটা উচিৎ।

১০) ঝালাই কর্মী

উচ্চ তাপমাত্রায় ধাতু ঝালাই করা খুবই বিপজ্জনক। এ সময়ে তেজস্ক্রিয়তা ও অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শ এবং ওয়েল্ডিং থেকে ওঠা ধোঁয়া ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এতে লাং ল্যান্সার, কিডনি ক্যান্সার এবং চোখের মেলানোমা হতে পারে। এছাড়া লিভার ও কিডনিতে অন্যান্য রোগও দেখা দিতে পারে।

কেএনইউ/ এআর

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি