রাজন হত্যা : মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
প্রকাশিত : ১৬:৪৯, ২৫ জুলাই ২০১৭

সিলেটের চাঞ্চল্যকর শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া চার আসামির ফাঁসি রায় বহাল রেখে মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া চার আসামির ফাঁসির রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রায়ের কপিতে স্বাক্ষরের পর আজ এ রায় প্রকাশিত হয়।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু রাজনকে। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে নির্যাতনকারীরা। পরে লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করে।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া চার আসামি হলো- মামলার প্রধান আসামি সিলেট জালালাবাদ থানার শেখপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম, পীরপুর গ্রামের সাদিক আহমদ ময়না ওরফে ময়না চৌকিদার, শেখপাড়া গ্রামের তাজ উদ্দিন বাদল ও সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে পাভেল। এর মধ্যে জাকির হোসেন ওরফে পাভেল বর্তমানে পলাতক।
এ হত্যা মামলায় আদালত জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নূর মিয়া ওরফে নূর আহমদকে যাবজ্জীবন ও শেখপাড়া গ্রামের দুলাল আহমদকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
লাশ গুমের চেষ্টার দায়ে আসামি কামরুলের ভাই শেখপাড়া গ্রামের মুহিদুল ইসলাম মুহিত, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে সাত বছর করে এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জাহাঙ্গীরগাঁও গ্রামের আয়াজ আলীকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আসামি শামীম আহমদ পলাতক।
এ ছাড়া মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান জালালাবাদ থানার হায়দরপুর গ্রামের রুহুল আমীন, কুমারগাঁও গ্রামের আজমত উল্লাহ ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ কুর্শি ইসলামপুর গ্রামের ফিরোজ আলী।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন