ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫

রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনের ঢেউ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ২০ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১১:৪৪, ২০ মার্চ ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনের ঢেউ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর বাঙালি প্রস্তুত হয় মুক্তিযুদ্ধের জন্য। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় নেতার একজন এ এইচ কামরুজ্জামান রাজশাহীবাসীকে প্রস্তুত করেন স্বাধীনতার জন্য। বাবার পাশে থেকে সেদিন অনেক কিছুই দেখেছেন ছেলে খায়রুজ্জামান লিটন। যুদ্ধদিনের সেইসব স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন।

উত্তাল মার্চের দিনগুলোতে সারাদেশের মতো রাজশাহীও চলছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে।

২৩ মার্চ একজন পাঞ্জাবী ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে কয়েকজন সৈন্য রহনপুর ইপিআর ক্যাম্পে সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে গেলে বাঙালী সেনারা গুলি ছোড়ে। রাজশাহীতে এটাই হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙালীর প্রথম প্রতিরোধ।

জাতীয় পরিষদে ইয়াহিয়ার ভাষণের পর রাজশাহীতে ক্ষোভের আগুন জ্বলে। রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হয়ে ওঠে পাকিস্তানিদের প্রতিরোধে সশস্ত্র যুদ্ধ।

কলেজ এবং জজকোর্টে পাকিস্তানের পতাকায় আগুন দিয়ে ঘৃণা প্রকাশের খাতা খোলে রাজশাহীবাসী। মালোপাড়ায় টেলিফোন ভবনের ছাদে পাকিস্তানিদের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে গুলি করলে বাটার মোড়ে এক ছাত্র নিহত হয়।

জারী করা হয় কারফিউ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হলত্যাগে বাধ্য করা হয়। প্রতিবাদ করায় উপাচার্যের অপসারণ, পরপর এসব ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে রাজশাহীবাসী। ভুবনমোহন পার্কে প্রতিবাদ সভা করে আওয়ামী লীগ।

উত্তাল সেই সময়ে জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কোলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। আর তার পরিবার দিন কাটায় আতংকে।

সল্টলেকে ১ কোটি শরণার্থীর দেখভালে বাবার পাশে থেকে পূত্র দেখেছেন যুদ্ধের বাস্তবতা।

শাসকের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের পাশাপাশি ভুবনমোহন পার্কে আতাউর রহমানের নাটক রক্তের রঙ লাল, মুক্তিকামী মানুষের বুকে সাহস জুগিয়েছিল। আত্মত্যাগের রাঙা ভোরে বাংলার আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার লাল সূর্য।

বিস্তারিত দেখতে ভিডিও দেখুন :

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি