ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রোজাদারের পুরস্কার আল্লাহ নিজেই দেবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯, ১ মে ২০২০ | আপডেট: ১১:২৬, ১ মে ২০২০

রমজান অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং বরকতময় একটি মাস। এই মর্যাদা ও বরকতের কারণ হচ্ছে আল কোরআন এই মাসে নাজিল হয়েছিল। তাই এ মাসে প্রতিটি মুহূর্ত কোরআনের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  আসলে যেখানে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, যেখানে কোরআনের বাণী-মর্মবাণী শ্রবণ করা হয়, কোরআনের আলোচনা হয়, আল্লাহ্-এর রহমতের ফেরেশতা সেখানে রহমতের ডানা মেলে দেয়। সেখানে রহমত বর্ষিত হতে থাকে।

সালমান ফারসি (রা) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন যে, ‘এ মাসে এমন একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এবং এ মাসের বরকত এতটাই যে নফল ইবাদত ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াবের। আর একটি ফরজ ইবাদত ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াবের।’

রাসুলুল্লাহ (স) রমজান মাসে বেশি বেশি প্রার্থনা করতে বলেছেন। বায়হাকি এবং সহীহ ইবনে খুযায়মাসহ একাধিক হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, ‘রমজান মাসে তোমরা বেশি বেশি পাঠ করো – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই) ও আস্তাগফিরুল্লাহ (ক্ষমা করো আল্লাহ বা দয়াময় ক্ষমা করো) এবং আল্লাহ্-এর কাছ থেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই ও জান্নাতের জন্যে প্রার্থনা করো। এ মাসের প্রথম দশক রহমতের, মধ্যম দশক মাগফিরাতের আর শেষ দশক হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির।’

রোজা রাখার যে দৈহিক উপকারিতা, স্বাস্থ্যগত উপকারিতা -এটা আমরা যেমন জানি। তেমনি আমরা জানি রোজায় শুদ্ধাচার চর্চার গুরুত্ব। রোজার দিনে রোজা রেখে আপনি যদি দুর্ব্যবহার করেন, গীবত করেন, অশ্লীলতার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন, অন্যায় করেন, তাহলে রোজার যে উপকারিতা সেই উপকারিতা থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন।

রমজান মাসে রসুলুল্লাহ (স) বেশি বেশি দান করতেন। আমরাও অনেকেই বেশি বেশি দান করার চেষ্টা করব। কারণ আমরা জানি যে, যে-কোনো ভালো কাজের পুরস্কার রমজান মাসে ৭০ গুণ বেশি। 

রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল স্বরূপ।

(সহীহ বোখারী ও মুসলিম শরীফ)

কিয়ামত দিবসে রোজা ব্যতীত অন্যান্য ইবাদতের সওয়াব বদলা হিসেবে অন্য কেউ নিয়ে নিতে পারবে, অর্থাৎ কোন বান্দা যদি দুনিয়াতে অপরের হক নষ্ট করে তার পুণ্যকর্মের সওয়াব ওই বান্দার আমল নামায় যোগ হবে, যার হক নষ্ট করা হয়েছে, কিন্তু এক্ষেত্রে রোজা ব্যতিক্রম। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আমিই এর প্রতিদান বা বদলা হবো। সব ইবাদতের পরিবর্তে বেহেশত লাভ হয়। রোজার পরিবর্তে বেহেশতের স্রষ্টা আল্লাহকেই পাওয়া যাবে।’

আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘রোজাদারের যে পুরস্কার, এটা আমি নিজে দেই এবং এটা আমি কোনোরকম অনুপাত বা হিসাব ছাড়াই দিয়ে থাকি।’

রাসুলুল্লাহ (স) খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘রমজান ধৈর্য, সহনশীলতা ও সমমর্মিতা অনুশীলনের মাস। আর এই অনুশীলনের পুরস্কার জান্নাত।’
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি