ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য যারা অকাতরে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল।

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ভাষার অধিকার পেয়েছিল বাঙালি, সেই সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারের দিকে ফুল হাতে খালি পায়ে হেঁটে একে একে এগিয়ে যাচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সরকারি বিভিন্ন দফতর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার নেতৃবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

শুক্রবার অমর একুশের প্রথম প্রহরে (বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার পর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। 
এরপর ভোর থেকেই শহীদ মিনারে নামে জনতার ঢল। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেই জনস্রোত এসে মিশে গেছে শহীদ মিনারে।

নীলক্ষেত, আজিমপুর কবরস্থান থেকে পলাশী হয়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে শহীদ মিনার অভিমুখে। শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা বের হচ্ছেন দোয়েল চত্বর ও টিএসসি ক্রসিং দিয়ে।

মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বারসহ অনেক বাংলা মায়ের দামাল ছেলে। তাদের রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি। আর তারই সিঁড়ি বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাহারা খাতুন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মসিউর রহমান, শেখ সেলিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।

এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার, রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, তিন বাহিনীর প্রধানরা, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শ্রদ্ধা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

এরপর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছিলেন হুইলচেয়ারে। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি এ. কে. আজাদ ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া প্রমুখ।

এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৪ দলীয় ঐক্যজোট, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস, ঢাকা জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন সংগঠন।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি