ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে স্পিকারের শোক

প্রকাশিত : ১৫:০০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৫:১৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।

আজ এক শোক বার্তায় স্পিকার বলেন, শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে জাতি একজন দেশবরেণ্য সাংবাদিককে হারাল। তিনি সংবাদ মাধ্যমের এক নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব এবং আজীবন সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রতিথযশা এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের সংবাদপত্র অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।

স্পিকার মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপরদিকে শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এবং চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

শাহ আলমগীরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন :

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন শাহ আলমগীর। কিশোর বাংলায় ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া কাজ করেছেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পত্রিকা ছাড়াও চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাদের হাট’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে জীবনের বড় একটি সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহে কেটেছে তাঁর। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। মস্কোর ইন্সটিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেছেন। উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন থমসন ফাউন্ডেশন থেকে। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের কোর্স।

পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। ছেলে আশিকুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কাজ করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে ন্যায়পাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সূত্র : বাসস

এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি