ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

শুকরিয়াকারীর প্রাপ্তি অনেক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

আমাদের শ্বাস-নিঃশ্বাস থেকে শুরু করে জীবন ধারণের সবকিছুই স্রষ্টার সৃষ্টি। তা আমরা পদে পদে অনুভব করি। শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে জীবন যায় থেমে, তেমনি আমরা যা খেয়ে জীবন বাঁচাই তাও তাঁরই দেওয়া। এই মূল্যবান জিনিস যিনি দান করেছেন, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা কি উচিত নয়? কিন্তু আমরা কয়জন সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। 

একটু লক্ষ্য করলেই পরিস্কার হবে, তাহলো ৭০ থেকে ১০০ ট্রিলিয়ন দেহকোষের সমন্বয়ে গঠিত আমাদের শরীর। এই শরীরের প্রতিটি কোষে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে শিরা ও ধমনীর ৬০ হাজার মাইল দীর্ঘ পাইপ লাইন। চিন্তা করা যায়! সুনিপুণ এক কারিগরের হাতে তৈরি এই দেহের প্রতিটি কোষ কি সুন্দরভাবে কাজ করে চলছে।

এক মুহূর্ত হার্ট তার কার্যক্রম বন্ধ করলে কি অবস্থা হবে, তা কি ভাবা যায়? এই হার্ট কোন ক্লান্তি বা প্রতিবাদ ছাড়াই প্রতিদিন লক্ষবার স্পন্দনের মাধ্যমে ১৬শ’ গ্যালনেরও বেশি রক্ত পাম্প করে দেহকে সচল রাখছে। তেমনিভাবে চোখের মতো ছোট্ট লেন্স দিয়ে শত বছর দেখে চলছেন এই বিশাল পৃথিবী। আবার মস্তিষ্কের দিকে তাকান, সেকেন্ডেরও কম সময়ে কত দূরে আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে, আবার শত বছরের স্মৃতিও এই মস্তিষ্কই ধরে রাখছে।

এরপরও কি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করবেন না? কৃতজ্ঞতায় সৃষ্টিকর্তার কাছে সবারই নত হওয়া উচিত। কৃতজ্ঞতা বা শুকরিয়া প্রকাশ করলে নিজেরই উপকার। কেননা এই শুকরিয়া শরীর-মনের অনেক সাফল্য বয়ে আনে। এবার জেনে নেই শুকরিয়া প্রকাশ করায় যেসব উপকার মেলে, সে সম্পর্কে...

* শুকরিয়া অস্থির মনকে স্থির করে। মন যখন প্রশান্ত থাকে মস্তিষ্ক তখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী চিন্তা-পরিকল্পনা কাজে লাগানো সহজ হয়।

* অতীতের গ্লানি আর ভবিষ্যতের আশঙ্কা থেকে মুক্ত করে মনকে বর্তমানে নিয়ে আসে শুকরিয়া।

* শুকরিয়া অনুভূতি সচেতন করে ব্যক্তির সামর্থ্য, পারিপার্শ্বিক উপায়-উপকরণ ও জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে।

* লালিত অভ্যাসচক্রের ক্ষতিকর দিকগুলো নিজের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরিচয় ঘটে মনের বিশাল সম্ভাবনার সঙ্গে।

* সবকিছুতে পূর্ণতার অনুভূতি নিয়ে আসে।

* শুকরিয়া মনে আনন্দানুরণন সৃষ্টি করে। এ অনুরণন মেধাকে কাজে লাগিয়ে রোগকে সুস্থতায়, অশান্তিকে প্রশান্তিতে, ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তরের প্রক্রিয়া বেগবান করে।

* শুকরিয়া আশাবাদী করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, কাজের প্রেরণা জোগায় এবং অজুহাত কমায়।

* ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব নির্মাণ করে শুকরিয়া।

* শুকরিয়া ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, পরবর্তী সাফল্যকে আমন্ত্রণ জানায়।

* শোকরগোজার মনই প্রশান্ত মন। প্রশান্ত মন সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে। 

আসুন আমরা সবাই মন-প্রাণ দিয়ে শোকরগোজর হই।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি