ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শেখ হাসিনার ভারত সফরকে এপারের মানুষ যেভাবে দেখছে

অমল সরকার

প্রকাশিত : ১৪:২০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:২৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

সফরে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠক

সফরে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠক

ইন্টারনেটের যুগে গোটা পৃথিবী এখন মুঠো ফোনের দখলে। ফলে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় শেখ হাসিনার ভারত সফরকে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল, আমজনতা এবং সংবাদমাধ্যম কীভাবে দেখছে, এপারে বসে আমরা তা দিব্যি জানতে পারছি। ম্যাডাম হাসিনার সফর চলাকালে ঢাকার দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুবাদে সরাসরি বোঝার সুযোগ হয়েছে সফরটাকে কী চোখে দেখছেন সে দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী, তার দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থকরা জোর গলায় বলছেন, সফর দারুণ সফল। অন্যদিকে, বিরোধী দল এবং তাদের সমর্থকরা বলছেন উল্টোটা, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরেছেন। 

তাৎপর্যপূর্ণ হল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর নিয়ে এপারেও বিস্তর চর্চা হচ্ছে। ছোট ছোট আলোচনা সভায় কথা হচ্ছে। তাতে নানা দিক উঠে আসছে, যার মধ্যে দু-দেশের সরকার এবং জনসাধারণের মধ্যে বোঝাপড়া মজবুত করার দিশা তো আছেই, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন নতুন বিষয়কে যুক্ত করার প্রস্তাবও দিচ্ছেন কেউ কেউ। 

কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয়ই সবচেয়ে আগে জানতে আগ্রহী হবেন, তিস্তার জল নিয়ে এপারের মানুষের বক্তব্য কী? কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা যে পিপল টু পিপল রিলেশনস বা জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলি তা সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে। যে সম্পর্কের পেছনে কাজ করে দীর্ঘদিনের সহাবস্থান, ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মেলবন্ধন। বাংলাদেশ ও ভারতের ক্ষেত্রে যা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। 

প্রতিবেশীরা একে অপরের বাড়িতে আমন্ত্রণ বা দাওয়াত পেলে খাওয়াদাওয়া শেষে আলোচনা হয়, মেনুতে চিকেন ছিল, নাকি মাটন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু ইস্যু ন্যায্য কারণে আমজমতার কাছে মাটন বিবেচিত হয়। এ নিয়ে মন কষাকষি, আড়ালে আলোচনা এড়ানো যায় যদি সদুত্তর থাকে এবং তা আর এক পক্ষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকে। 

তিস্তার জলের উপর বাংলাদেশের উত্তরভাগের মানুষের নির্ভরশীলতা উপেক্ষা করার নয়। ন্যায্য দাবিই একটা সময়ে আবেগে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মানুষের সেই আবেগ এপারের মানুষকে স্পর্শ করে বলেই অনেকেই মনে করছেন, জল ভাগাভাগির চুক্তি স্বাক্ষর কেন ত্বরান্বিত করা যাচ্ছে না তা নিয়ে চর্চা, মত ও তথ্য বিনিময় জরুরি। নদীর জল যেমন এক বিরাট সংকট, তেমনই বর্ষার জল ধরে রাখতে না পারা এক বড় ব্যর্থতা। এ পারের আলোচনায় উঠে আসছে, জল সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করা গেলে বন্যা থেকে রক্ষা, শুখা মরশুমে জলের জোগান নিশ্চিত করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে ন্যায্য ভাগ-বাটোয়ারা সম্ভব। আগামী দিনে হয়তো যৌথ জলাধারের কথাও ভাবতে হবে আমাদের।

এই প্রসঙ্গে এসেছে প্যারা ডিপ্লোম্যাসির কথা। অর্থাৎ বৈদেশিক বিষয়ক আলোচনায় আঞ্চলিক কিংবা স্বশাসিত সরকারকে যুক্ত করা। ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের গাড়িতে নিয়ে সরকারি আলোচনায় অংশ নিতে গিয়েছেন। কিন্তু হাসিনার ভারত সফরের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এপারের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, ২০১১ সালে রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে তিস্তা চুক্তি করতে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সরকার প্যারা ডিপ্লোম্যাসিকে উপেক্ষা করেই সমস্যা ডেকে আনেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, তার রাজ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদীর জল বণ্টন চুক্তি করা হচ্ছে, অথচ তিনি কিছুই জানেন না। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে বাংলাদেশের মানুষের আরও জানা প্রয়োজন, তিস্তার জলের ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল এ দেশের ক্ষুদ্রতম রাজ্য সিকিমের। সবটাই পশ্চিমবঙ্গ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। 

প্যারা ডিপ্লোম্যাসি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা প্রাধান্য পেলে ফল কেমন হয় তার স্বাক্ষর ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল চুক্তি। সেই চুক্তির প্রধান কারিগর ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসু। তাতে বলতে গেলে অনুঘটকের ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। অর্থাৎ বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে সেই চুক্তির কৃতিত্ব অবশ্যই শেখ হাসিনার।   

তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও মিডিয়ার তরফে এপারে যে রাজ্যটির দিকে আঙুল তোলা হয়, আমরা সেই পশ্চিমঙ্গের বাসিন্দারাও গঙ্গার জলের ক্ষেত্রে একই ধরনের সমস্যার বলি। গঙ্গার উজানে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের তুলনায় ভাটির রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ভাগে এতটাই কম জল আসে যে কলকাতা বন্দর কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। 

ভারতের দক্ষিণপ্রান্তে কাবেরীর জল নিয়ে কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর বিবাদ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অতএব, নদীর জলের ন্যায্য ভাগ না পাওয়ার যন্ত্রণা সীমান্তের এপারের মানুষের অজানা নয়। আর প্রতিবেশী তো শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো। কোনও নদীর জল যখন নিকট প্রতিবেশীর আর্থিক সক্ষমতার জন্য জরুরি, তখন তা ন্যায্য দাবি মনে করে এপারের বহু মানুষ। 

তবে, দুটি দেশের সম্পর্ক কখনই একটি বা দুটি নদীর জলের ভাগ বাটোয়ারার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে অন্য অনেক ইস্যু আড়ালে চলে যায়। মানতেই হবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দু-দেশের সম্পর্ক অনেকটাই প্রসারিত হয়েছে। 

আমরা যখন দু-দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি তখন স্মরণে রাখা ভালো, এই অর্ধ শতাব্দির অর্ধেকের বেশি সময় যোগাযোগ ছিল নিয়মতান্ত্রিক এবং তা সরু সুতোর উপর ঝুলছিল। দু-দেশেই সরকারি স্তরে আন্তরিকতা এবং প্রতিবেশীর প্রতি মর্যাদার মনোভাবের অভাব ছিল। 

সেই ধূসর পর্বের বিদায়ের পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। এক. শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকারের ক্ষমতায় ফেরা। দুই. তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা অর্জন। বাংলাদেশ তার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে ভারতের কাছ থেকে সমমর্যাদার সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। নইলে গৌতম আদানির মতো বিশ্বের দ্বিতীয় ধনবান শিল্পপতি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতেন না। 

এপারের মানুষ মনে করছেন, শেখ হাসিনা কৃষির উন্নতিকে ভিত্তি করে দেশকে শিল্প-সমৃদ্ধ করে তোলার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে এ দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মীদের তৎপরতায়। ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলি নিয়মিত সিআইআইসহ এ দেশের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদের বিপণন করছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। সরকারের ইতিবাচক মনোভাব ছাড়া যা সম্ভব হয় না। এটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে শেখ হাসিনার ব্রিটেন ও আমেরিকা সফরের কর্মসূচির মধ্যে। তিনি পাখির চোখ করেছেন শিল্পে, পরিষেবায় বিদেশি বিনিয়োগ। বাংলাদেশ শিল্পসমৃদ্ধ হলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বোঝাপড়া আরও উন্নত হবে। 

তিস্তার জল নিয়ে সমাধান সূত্র অধরা, এটা মুদ্রার একটি দিক। অন্যদিকে, রয়েছে এই সফরে জ্বালানির ক্ষেত্রে উন্মোচিত সহযোগিতার নতুন দিগন্ত। তার মধ্যে বিদ্যুৎ নিয়ে বোঝাপড়া অন্যতম। বাগেরহাটে দু-দেশের উদ্যোগে তৈরি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। শেখ হাসিনা এবার এমন একটি সময়ে ভারত সফরে এসে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে দিয়ে গেলেন যখন বাংলাদেশে বিদ্যুতে রেশনিং চালু হয়েছে। নিয়ম করে বিদ্যুৎ ছাঁটাই করা হচ্ছে। মানুষ লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ভোগ করছেন। 

জ্বালানির সমস্যা দূর করতে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল যাবে। ফলে তেল পরিবহনের খরচ অনেকটা কমে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১৩১.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে রয়েছে ১২৬.৫৭ এবং ভারত অংশে ৫ কিলোমিটার পাইপলাইন।

করোনার মুক্তির পর গোটা বিশ্ব যখন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে তখনই আচমকা আসা ঘূর্ণিঝড়ের মতো আছডে় পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সেই অভিঘাতের প্রতিক্রিয়া অদূর ভবিষ্যতে অনেকটাই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে পণ্য চলাচলে খুলে যাওয়া বন্ধ করিডর। কেউ কেউ বলছেন, এগুলি ভারতের জন্য বাড়তি সুবিধা। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার, এই চলাচলের জন্য নতুন কোনও রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছে না। বন্ধ করিডর উন্মুক্ত করা হচ্ছে মাত্র।  

হাসিনার সফরের মুখে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজে আয়োজিত হয়েছিল এক নতুন ভাবনা নিয়ে আলোচনা। তা হল, দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নদীপথকে আরও কতভাবে ব্যবহার করা যায়। ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির আগে অভিন্ন বাংলার অর্থনীতির একটি বড় অংশ ছিল চা এবং পাট শিল্প। এই দুই শিল্পের রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল গঙ্গা-পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র। দেশভাগের পর সেই নদী রুট দু’দেশের জন্যই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই বাংলার অর্থনীতিই বিপর্যস্ত হয়েছে। 

আর বাণিজ্যে বর্তমান অসমতা দূর করাটা ভারত ও বাংলাদেশ দুই পক্ষের জন্যই যে জরুরি, এপারের অর্থনীতিবিদরাও তা উপলব্ধি করছেন। কলকাতায় সদ্য অনুষ্ঠিত এক আলোচনা চক্রে দু’দেশের মধ্যে সেপা অর্থাৎ কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট দ্রুত কার্যকর করার পক্ষে মত দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নের কারণে কিছু সুবিধা হাতছাড়া হয়। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে ২০০৮ সালে চালু হওয়া ডিউটি ফ্রি ট্যারিফ প্রেফারেন্স (ডিএফটিপি) সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তার আগে সেপা চালু করা না গেলে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে না। চলতি ঘাটতি কমানো অর্থাৎ ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি যে জরুরি তা এপারের বিশেষজ্ঞরাও উপলব্ধি করছেন। 

বর্তমানে এই ফারাকটি কতটা? ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১৮-১৯ সালে ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি। সেটা এখন বেড়ে হয়েছে দুই মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সেখানে ভারতের বাংলাদেশে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধর একটি নিবন্ধে বলেছেন, এই ঘাটতি অনেকটাই কমানো সম্ভব বাংলাদেশের রেডিমেড গারমেন্টস ভারতে আমদানি বাড়ালে। শেখ হাসিনার এবারের সফরেই কথা হয়েছে বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত অতঃপর একটি বিষয়ে সচেতন থাকবে। ভারত কোনও পণ্য রফতানি বন্ধ করলে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেবে। 

শেষ করব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ঈশানী নস্কর ‘শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফর এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক আলোচনায় আগামীর ভাবনা হিসাবে তুলে ধরলেন জলবায়ু সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের আলোচনার অংশ করে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা। বাংলাদেশ এবং ভারত, দুই দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনৈতিক উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় বাধা। সিডর, আইলা, আমফানের মতো বিপদ লেগেই আছে। আছে নদী ভাঙনের সমস্যা। এই বিষয়গুলি নিয়ে যৌথ চর্চা শুরু হয়নি, তা বলা যাবে না। দু’দেশের নদীগুলির সংরক্ষণ, জলজ সম্পদ রক্ষার বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতার সংস্থা ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি বড় আলোচনার আয়োজন করেছিল। যেখানে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা তাদের সুচিন্তিত অভিমত জানিয়েছেন। 

লেখক: ভারতীয় সাংবাদিক ও বাংলাদেশ বিষয়ে স্বাধীন গবেষক।

এএইচএস 
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


টেলিফোন: +৮৮ ০২ ৫৫০১৪৩১৬-২৫

ফ্যক্স :

ইমেল: etvonline@ekushey-tv.com

Webmail

জাহাঙ্গীর টাওয়ার, (৭ম তলা), ১০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

এস. আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি