ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

সময়োপযোগী সব পদক্ষেপই নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:২১, ১৯ আগস্ট ২০২১ | আপডেট: ১১:২৩, ১৯ আগস্ট ২০২১

রাষ্ট্র, ব্যক্তি ও সমবায়ের ভিত্তিতে সম্পদের বণ্টন ছিলো বঙ্গবন্ধু প্রশাসনের মূল নীতি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সময়োপযোগী সব পদক্ষেপই নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গঠন করেছিলেন টিসিবি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সেনা-বিমান ও নৌবাহিনী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতি ছিলো অতুলনীয়। অথচ একটা শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর শাসনতন্ত্র নিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করেই গেছে। 

স্বাধীনতার মাত্র ১০ মাসের মাথায় ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর সদ্য স্বাধীন দেশের নতুন সংবিধানের অনুমোদন দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৩ সালে মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন, গড়ে তুলেন নৌ ও বিমানবাহিনী। ৭৫-এর জুনে প্রতিষ্ঠা করেন সীমান্তরক্ষা বাহিনী- বিডিআর।

ইতিহাস বলে, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন রাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ হানাহানিতে অনেক মানুষ মারা যান। অথচ বঙ্গবন্ধুর প্রশাসনিক দূরদর্শিতায় তেমনটি হয়নি তাঁর স্বপ্নের স্বদেশে।

বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, সবার সঙ্গে সখ্য, কারও সঙ্গে বৈরি নয়- এই যে মাস্টার স্টোক কয়জন লোক এটা বলতে পারছে।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, এসে সমস্ত উপকরণ প্রায় বিনামূল্যে দিলেন। কৃষি ঘুরে গেল। যে কারণে ৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৮ ভাগ। পে-কমিশন করলেন এবং পে-কমিশনে ১ হাজার ১শ’ বেতন স্কেলের জায়গায় দশটা স্কেল করলেন।

সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য ও নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন জাতির পিতা। প্রশাসনিক কাঠামোয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিও চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। 

বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব বলেন, সাড়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে দেশ স্বাধীন হলো এবং পরাজিত শত্রুরা সবকিছু ভেঙ্গে চুড়মার করে দিয়ে গেল। সেইখান থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য জাতির পিতা এমন কোন কাজ নেই যে তার সময়মত করেননি এবং সুচারু রূপে করেননি। তিনি বললেন সম্পদের মালিকানা হবে তিনজন- রাষ্ট্র, ব্যক্তিগত এবং সমবায়।

বঙ্গবন্ধুর শাসন নিয়ে একটা শ্রেণি পরিকল্পিত মিথ্যাচার করেই গেছে। আর তারাই ১৫ আগস্টের ঘৃন্যতম হত্যাযজ্ঞের কুশীলব।
 
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রশাসন অত্যন্ত চমৎকার ছিল। যারা বলে যে তিনি দুর্বল ছিলেন তারা মিথ্যাচার করেছে, তারা বুঝতে পারেনি।

১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৩ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি