ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্তব্ধ সিঙ্গাপুর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯, ১৩ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৪, ১৩ এপ্রিল ২০২০

সিঙ্গাপুরের একটি জনশূন্য রাস্তা- এএফপি

সিঙ্গাপুরের একটি জনশূন্য রাস্তা- এএফপি

বলা হতো সিঙ্গাপুরে কখনও রাত নামত না। ব্যস্ততায় ডুবে থাকত এ দ্বীপরাষ্ট্র। সদা জাকজমকপূর্ণ রাষ্ট্রে বিনোদন ও অবকাশ যাপনের জন্য ছুটে যেতেন বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। ব্যবসা ও বাণিজ্যের একটি ব্যস্ততম কেন্দ্র সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর পুরোপুরিভাবে ঘুমিয়ে পড়েছে এখন। চলতি মাসের শুরুতে করোনার আক্রমনে থমকে গেছে দেশটি। 

একেবারে শুরু দিকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে সিঙ্গাপুর সফল হয়েছিল ভ্রমণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে এবং আক্রান্তদের শনাক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই দ্রুত বাড়ছে। একারণে করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুর সরকার। পরে লকডাউন করে সরকার। 

গতকাল রোববার পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩২ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন ৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬৯ জন বাংলাদেশি বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আক্রান্ত ২৩৩ জনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। ৬৬ জন পূর্বের ক্লাস্টারের কিংবা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪১ জন অভিবাসীদের থাকার জায়গা ডরমিটরির সঙ্গে লিংক রয়েছে। ১৬৭ জনের তথ্য এখনও অজানা।

৯৭৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরমধ্যে ৩১ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ৯৮৮ জনের অবস্থা ক্লিনিক্যালি ভালো কিন্তু পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তাদেরকে অন্য রোগীদের কাছ থেকে আলাদা রাখা ও যত্নের জন্য কনকর্ড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, গ্লেনেগল হাসপাতাল এবং দ্য কমিউনিটি আইসোলেশন ফ্যাকাল্টি অ্যাট ডিজোর্টে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বেশিরভাগ পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছে অভিবাসীদের বাসস্থানগুলো থেকে, যেখানে খুবই গাদাগাদি করে অভিবাসী শ্রমিকরা থাকেন। সিঙ্গাপুরে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসী শ্রমিকরা কাজ করেন নির্মাণ ও জাহাজ শিল্পে এবং যাবতীয় মেনটেনেন্স খাতে। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি সচল রাখতে দেশটি এদের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

সিঙ্গাপুরে বসবাসরত শ্রমিক ও হাইকমিশন সূত্র জানায়, চুয়াচুকাং ডরমিটরি, পঙ্গুল, জুরংইস্ট, তুগান, পিঞ্জরি, টেস্টানিজ ডরমিটরিসহ অন্তত ৪৫টি ডরমিটরিতে বাংলাদেশি কর্মীসহ অন্যান্য দেশের কর্মীরা থাকেন। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এসব ডরমিটরিকে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেখানে বসবাসরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা একটি কক্ষে ১০ থেকে ২০ জন করে থাকেন। কোনো কোনো কক্ষে দোতলা ও তিনস্তরে থাকার বিছানাও রয়েছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকরা বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি