ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

৩০ পেরোলে যে পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়া ভালো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

সুস্থতা অমূল্য সম্পদ। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। দীর্ঘ জীবনে এই সুখ ধরে রাখতে হলে স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একটা সময় পর্যন্ত আমাদের শরীর কিছু রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে সে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে বয়স ৩০ পার হলেই কমতে থাকে এই ক্ষমতা।

সুতরাং এ বয়স থেকে কিছু কিছু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই হবে, না হলে বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক অসুখই নিঃশব্দে বাস করে শরীরে। লক্ষণও প্রকাশ পায় না। বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছালে তবেই জানান দেয়। তাই উপযুক্ত পরীক্ষা না করালে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয় ও ক্ষতির শঙ্কা থেকে যায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৩০ পেরোলেই কিছু কিছু পরীক্ষা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। শরীরে কোনো সমস্যা না হলেও ৩০ এর পর দেহে আসতে পারে বিশেষ কিছু অসুখ। সেসব অসুখের উপলক্ষ বা লক্ষণ বোঝা নাও যেতে পারে। তাই বয়স ৩০ পার হলেই অন্তত ছয় মাসে না হোক বছরে একবার হলেও কিছু শারিরীক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। 
চলুন জেনে আসি কি কি পরীক্ষা করা প্রয়োজন-
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি)
একটা বয়সে পৌঁছানোর পর সিবিসি খুবই প্রয়োজনীয় একটা পরীক্ষা। এ পরীক্ষা থেকে রক্ত শূন্যতা, সংক্রমণ এবং ব্লাড ক্যানসার জাতীয় ব্যাধিরও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও রক্তে কী পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা, হিমোগ্লোবিন এবং প্লাটিলেট রয়েছে, তাও জানা যায় এ পরীক্ষা থেকে।  

লিপিড প্রোফাইল
রক্তে চর্বির পরিমাণ জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এটার জন্যই প্রয়োজন লিপিড প্রোফাইল। কোলেস্টেরলসহ একাধিক বিষয় পরিমাপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা, বা রক্তনালীতে কোনো সমস্যা থাকলে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ পরীক্ষা থেকে। 

থাইরয়েড
অনেকে বলেন প্রতি তিন মাস পর পর থাইরয়েড টেস্ট করা উচিত। থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ঋতুচক্রের গণ্ডগোল, প্রজননে বাধা। 

প্যাপ স্মিয়ার
মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি ৩০ পার হলেই করা জরুরি। জরায়ুমুখের ক্যানসার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ পরীক্ষা। ইদানীং জরায়ুমুখের ক্যানসারের পরিমাণ যে হারে বেড়েছে, তাতে বছরে অন্তত একবার এই পরীক্ষা করিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

ব্লাড সুগার
এটিও একরকম শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়। সুগার মানেই তার হাত ধরে নানান রোগ। চোখ, হার্ট থেকে লিভার কোনোকিছুই বাদ যায় না। প্রতি ৪ মাসে একবার সুগার টেস্ট করুন। সকালে হাঁটা অভ্যাস করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে ইনসুলিন অবশ্যই নিন। 

ব্লাড প্রেসার
রক্ত চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকা যেমন খারাপ, কম থাকাও তেমনি খারাপ। এ সমস্যা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।  এ জন্য বয়স ত্রিশ হয়ে যাওয়ার পর মাসে অন্তত একবার প্রেসার মাপানো উচিত। 
এমএম/এসএ/


 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি