আইডিআই সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধির সুফল দেশের জনগোষ্ঠীর সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার বিবেচনায় বাংলাদেশের এ অগ্রগতি হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকের (আইডিআই) ভিত্তিতে প্রকাশিত তালিকায় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩৪তম।

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত ‘দি ইনক্লুসিভ গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতীয় উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও সমন্বিত বৈষম্য দূরীকরণ তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইডিআই নির্ণয় করা হয়েছে। গত বছরের সমন্বিত উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই) বাংলাদেশ শীর্ষ ৪০টি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে।প্রধান অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ স্থিতিশীল এবং মানসম্মত উন্নয়ন করেছে।

ডব্লিউইএফ’র বার্ষিক সূচকে উদীয়মান অর্থনীতির ৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। এই সূচকে নির্দিষ্টভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানগত অবস্থান প্রতিফলিত হয়। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান (৩৪তম), ভারত (৬২তম), পাকিস্তান (৫২তম) এবং শ্রীলংকার (৪০তম) চেয়ে বেশ উপরে।নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড স্কেন্ডিনেভিয়ান দেশগুলোসহ ২৯টি উন্নত অর্থনীতির দেশ এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

হাঙ্গেরি, আজারবাইজান, লাতভিয়া এবং পোল্যান্ডের পরেই উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর শীর্ষ রয়েছে লিথুনিয়া। সূচকে নিচের দিকে থাকা পাঁচটি দেশ হলো মোজাম্বিক, লেসেথো, আলাওয়ি, জিম্বাবুয়ে ও মিসর।

গত বছরের সূচকের চেয়ে বাংলাদেশ এ বছর দুই ধাপ এগিয়ে ৩৬তম  অবস্থান থেকে ৩৪তম অবস্থানে উঠে এসেছে। সূচকের স্কোর ১ থেকে ৭ এর মধ্যে, ৭ এবং ১ সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক সূচকের মান ৪

১০৩টি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম যাচাই করে অর্থনৈতিক অগ্রগতি জিডিপিতে কিভাবে অবদান রাখতে পারে তার ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়।

কর্মসংস্থান, শ্রমশক্তি, পরিবারের আয়, মাথাপিছু আয়, মোট সঞ্চয়, গড় আয়ু, দারিদ্র্য হার, সম্পদ বণ্টন, সরকারের ঋণ এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের ভিত্তিতে এই অর্থনৈতিক সূচক নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে গত বছর বাংলাদেশের জিডিপি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ (২০১৮ অর্থবছরে) জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১০ ডলার। এ সময় মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল। (সূত্র- বাসস)

কেআই/