ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বায়ুদূষণে জিডিপি কমছে ১ শতাংশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

ক্রমবর্ধমান ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকাসহ অন্যান্য শহরগুলো মারাত্মক বায়ু ও পানি দূষণের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর দেশ এক শতাংশ জিডিপি হারাচ্ছে কেবল বায়ু দূষণের কারণে। বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে পরিবেশ দূষণ বিশেষ করে নগরাঞ্চলের এ দূষণ অবশ্যই কার্যকর ও টেকসইভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব ব্যাংকের উদ্যোগে ‘কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসসমেন্ট ফর বাংলাদেশে’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ব ব্যাংকের গবেষক দল।

শিল্পকারখানা পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় এবং অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে নগরীর বাতাস ও বিভিন্ন স্তরে পানি দূষিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও অব্যাহত দূষণের কারণে বাংলাদেশের ছোট-বড় সব শহরই আক্রান্ত হচ্ছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদ হুসাইন,পরিবেশ ও বন সচিব ইশতিয়াক আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম মন্ডল, বিশ্ব ব্যাংকের এনভায়রনমেন্টের গ্লোবাল প্রাকটিস-এর প্রাকটিস ম্যানেজার কেসিনিয়া এলভোভসকি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদ হুসাইন বলেছেন, যখন প্রবৃদ্ধি পরিবেশের ক্ষতি করে অর্জিত হয়, তখন তা টেকসই হয় না। পরিবেশ দূষণ রোধে এখনই কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।’

ওই খসড়া প্রতিবেদনে শিল্প ও অর্থনীতির চারটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। শহরের জলাভূমি, পরিবেশ দূষণের ক্ষতি, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এগুলো হল-পরিবেশ সুরক্ষার নীতিগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও নীতিগত কাঠামো জোরদার করা, পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত করেই দেশের নগরায়ন ও শিল্পায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া এবং শিল্প-কারখানাগুলোতে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকারের প্রণোদনা দেওয়া। আগামী বছরের শুরুর দিকে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

একে // এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি