ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গভীর রাতে ‘হল ছাড়’

হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ২০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২২:০৭, ২০ এপ্রিল ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে রাতের আঁধারে বের করে দেওয়া ছাত্রীদের পুনরায় হলে উঠাতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সেই সঙ্গে হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে সংগঠনটি।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাবির টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে রাজু ভাস্কর্যের উত্তর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অবস্থান গ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীরা এসময় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, হলে হলে নির্যাতন বন্ধ কর করতে হবে, আমার বোন বাইরে কেন প্রশাসন জবাব চাই, নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান ও নুরুল হক নূর।

ঢাবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগ অবস্থান করায় তা পরিবর্তন করে রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয় সাধারণ পরিষদ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় কবি সুফিয়া কামাল হলের সামনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূর।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সংবাদের পরই সেখানে উপস্থিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সংগঠনটির এক নেতার দাবি হল থেকে ২০জন ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে ফেইসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ‘সরকারবিরোধী বক্তব্য ও অপতথ্য ছড়ানোর কারণে’ কবি সুফিয়া কামাল হলের তিন ছাত্রীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূর বলেন, যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাদের বিচার হবে। কিন্তু ‘রাতের অন্ধকারে’ কেন অভিভাবক ডেকে তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। হলের ভেতর থেকে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

নুরুল হক আরো বলেন, ছাত্রীদের মিথ্যা ভয়ভীতি দেখিয়ে কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সম্মানের সঙ্গে ওই ছাত্রীদের হলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে হল প্রশাসনের নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলঙ্কিত ইতিহাস রচিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষার্থে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ছাত্রসমাজের স্থান ক্লাসে, তাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না।

সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তি (পদার্থ), রিমি (পদার্থ), শারমিন (গণিত)। তবে সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী। তারা বলেন, ফেসবুকে যেন কোনো ধরনের পোস্ট দেওয়া না হয় সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ার করছেন প্রাধ্যক্ষ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সুফিয়া কামাল হলের তিন ছাত্রীকে অভিভাবক ডেকে এনে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

হলের প্রভোস্ট সাবিতা রেজওয়ানা গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক ছাত্রীকে তদন্তের জন্য আমরা ডেকেছি। তাদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব ছড়াচ্ছে।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি