অতিপুরনো দুর্নীতি মামলাগুলোর শুনানির উদ্যোগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ১৮ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৭, ১৮ নভেম্বর ২০২১

উচ্চ আদালতে দুদকের বিচারাধীন মামলা প্রায় আড়াই হাজার। আছে ৬০ বছরের পুরনো মামলাও। অতিপুরনো এসব মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
ঘটনা ১৯৬৬ সালের, সিলেটের চুনারুঘাটের এক ইউপি সদস্য টিপসই জাল করে ৫ কৃষকের সার আত্মসাৎ করেছিলেন। ১৯৬৮ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়ের করা মামলায় ওই ইউপি সদস্যের ২ মাসের জেল ও সাড়ে তিনশ’ টাকা জরিমানা হয়।
১৯৮৯ সালে ওই আসামীর মৃত্যু হয়। অতঃপর ৩২ বছর পর উচ্চ আদালতের আপিলে শুনানী শুরু হয় মামলাটির।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “জাজটিস ডিলে জাজটিস রিলেট- একটা কথা তো ম্যাগজিম আছেই। কিন্তু সেটা তো এখন কোর্টের প্রসিকিউর বা মামলা জটের কারণে হচ্ছে। ঠিক সেভাবে ব্যুরো আমলের মামলাগুলোর আসামিরা সাফারার।”
বহুদিনের পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির ধারাবাহিকতায় প্রায় ৫৫ বছর আগের দুর্নীতি মামলাগুলো শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে উচ্চ আদালত। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি মামলা কার্যতালিকায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি বলেন, “এই মামলাটি তেমনিই পড়েছিল। জাস্টিস মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এবং জাস্টিস মোহম্মদ সোহরাওয়ার্দি গঠিত বেঞ্চে দুদকের পুরনো মামলাগুলোর শুনানি শুরু হয়েছে। এই মামলার সার্বিক ঘটনাবলী এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ সকল কিছুর উপর ভিত্তি করে মামলাগুলো সমাধা করা হবে।”
পুরোনো মামলাগুলোর মধ্যে আছে সরকারি কর্মচারীদের অসদাচরণ, অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অপরাধ।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, “দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলাগুলো রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে হয়। এই রেকর্ডভিত্তিক মামলাগুলো ওর্যাল মৌখিক সাক্ষী দিয়ে তাকে শনাক্ত করতে হয়। রেকর্ড যদি হারিয়ে না যায় তাহলে আলামত নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের যাত্রা শুরু ২১ নভেম্বর ২০০৪। তারও আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অধীনে বিচারিক আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন পরিচালক। ব্যুরোর আলাদা কোনো প্রসিকিউশন ইউনিট ছিলোনা। কমিশন হওয়ার পর বিলুপ্ত ব্যুরোর অনিষ্পত্তিকৃত মামলার কাজ শুরু হয়।
মামলাগুলো নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পুরাতন মামলাগুলোর জট হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে সরানোই মুখ্য উদ্দেশ্য।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে দুদকের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪৭৫টি।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন