ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

অন্যান্য ধর্মের প্রতি বর্তমান সরকারের অবদান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ৩১ জুলাই ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও সরকার অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও গুরুত্ব দেয়। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় সংস্কার, ধর্মীয় শিক্ষা প্রচারে নিবেদিত কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিতদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও তীর্থস্থান পরিদর্শন করিয়ে তীর্থব্রত পালন করার ব্যবস্থা করা হয় সরকারি খরচে।

২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের জন্য নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৮০৮টি মন্দিরের সংস্কার আর উন্নয়ন করা হয়েছে। এত ব্যয় হয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। ৮৮৯টি হিন্দু শ্মশানের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৪ হাজার ২০৩ জন অসচ্ছল ও দুস্থ হিন্দু ব্যক্তির অনুকূলে ৬৬ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে মোট ২ হাজার ৩৫১টি মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৭০০টি মন্দিরের নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৫৮টি মন্দির ও শ্মশান সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের উন্নয়নে আরও ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করে ১৮টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ৪১ হাজার ২১৬ জন পুরোহিত ও সেবাইতকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৭ হাজার ৪০০টি মন্দিরে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবছর ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে প্রাথমিক, ৩০ হাজার নিরক্ষর ব্যক্তিকে ধর্মীয় শিক্ষা এবং ৪২ হাজার শিক্ষার্থীকে গীতা শিক্ষাসহ মোট ২ লাখ ২ হাজার জনকে শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৪০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকসহ মোট ৭ হাজার ৭২২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

সারা দেশের মঠ মন্দির শ্মশান সংস্কারের জন্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলের আয় হতে তিন কোটি এবং হিন্দু অসচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে এক কোটিসহ মোট ৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২ সালে সারা দেশে ৩২ হাজার ১৮৯টি পূজা ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে । সব মন্ডপের নিরাপত্তাজনিত তথ্যাবলি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়।

শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২২ উপলক্ষে সরকার প্রদত্ত অনুসরণীয় ২৫ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পূজা কমিটিগুলোকে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সারা দেশে পূজা মন্ডপের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত ২ কোটি টাকা সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৬ হাজার পূজা মন্ডপে বিতরণ করা হয়েছে।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে ৬২ জন তীর্থযাত্রীকে ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানে ভ্রমণ করানো হয়েছে।

খ্রিস্টান ধর্মীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও সরকার সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংস্কার মেরামত উন্নয়নের জন্য সারা দেশে ৩১৫টি গির্জার অনুকূলে ১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও ৩৪টি সেমেট্রির অনুকূলে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে। ১৯৮৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ক অধ্যাদেশ জারির ২৬ বছর পর ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর বহু প্রত্যাশিত খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ২০১৮ সালে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রবর্তন করা হয়।

ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওম্যান্ট তহবিল ছাড় করে ট্রাস্টের নামে একটি স্থায়ী আমানত করেছে।

খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা ধরনের উন্নয়ন করা হয়। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর বিগত ১০ বছরে ট্রাস্টের এনডাওমেন্ড তহবিলের আয় থেকে ৫৩২টি চার্চ বা উপাসনালয় সংস্কার মেরামত ও উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের এনডাওমেন্ট তহবিলের আয় থেকে গত চার বছরে ১৮টি সানডে স্কুলের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেশের ১ হাজার ৩৯টি চার্চের অনুকূলে বিতরণ করা হয়েছে।

গত সাত বছরে ট্রাস্টের আওতায় পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সাতটি কর্মশালা ও ছাত্র-যুবকদের নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক ১৮টি যুব কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে ৬০৬ জন পালক-পুরোহিত এবং ১ হাজার ৬২৭ জন ছাত্র-যুবকসহ মোট ২ হাজার ২২৩ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের ব্যক্তিগত অনুদানে খুলনা জেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহিণীদের জন্য গৃহনির্মাণ কর্মসূচির আওতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

ধর্মীয় তীর্থস্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছর তীর্থস্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণে ২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়। এরপর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত ছিল ৩ কোটি টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তা ৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সংস্কার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ হাজার ৫৩৯টি বৌদ্ধ ধর্মীয় প্যাগোডা বা বেগুরা বা বিহারের অনুকূলে ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩০১টি বৌদ্ধ শ্মশানের অনুকূলে ৭৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।

ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত তহবিল হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ও মজুরি অনুদান দিয়ে ট্রাস্টের পরিচালনা ব্যয় ও বৌদ্ধবিহার, বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের সংস্কার মেরামতের জন্য বার্ষিক অনুদান প্রদান করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের ১ হাজার ৫৪৭টি অসচ্ছল বৌদ্ধবিহার বা প্যাগোডা উপাসনালয়ের সংস্কার ও মেরামতের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর অসচ্ছল বৌদ্ধবিহারের আবাসিক ভিক্ষু বা শ্রমন ও অসহায় ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। ২০১২ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ৩৪২ জন অসচ্ছল ভিক্ষু শ্রমন ও অসহায় ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে বিশেষ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ তহবিল থেকে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিশেষ অনুদান দেশের ৬ হাজার ৪৩২টি বৌদ্ধবিহারে প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেন। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১০০টি শিক্ষাকেন্দ্রে ৬ হাজার বৌদ্ধ শিশুকে শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি জেলার ৬২ উপজেলায় ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০ হাজার বৌদ্ধ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির তৃতীয় পর্যায় অনুমোদন প্রক্রিয় রয়েছে। তবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। প্রতিবছর ৬ হাজার বৌদ্ধ শিশু প্রাক-প্রাথমিক ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা গ্রহণ করছে। ৩০০ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মহিলা ও পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পালি-বাংলা অভিধান প্রকাশ করেছে। এই উপমহাদেশে বাংলা-পালি সাহিত্যে এটা প্রথম পালি বাংলা অভিধান। এই অভিধানটি বাংলা পালি সাহিত্যের গবেষক সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়া শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ট্রাস্টের উদ্যোগে সপ্তপর্ণী নামে একটি বার্ষিকী প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় উন্নয়নে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বকে সম্পৃক্তকরণ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ২৬০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ধর্মীয় নেতাকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। নেপালের লুম্বিনি কনজারভেশন এরিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ প্যাগোডা ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ৬০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার একটি ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। নেপাল সরকার বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আশ্রম প্যাভিলিয়ন নির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অনুকূলে ইতিমধ্যে একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে।

রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২১ কাঠা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা বৌদ্ধবিহার, প্যাগোডা, ক্যাং, চৈত্য ও বৌদ্ধ সর্বজনীন শ্মশানের হালনাগাদ সংখ্যা নিরুপণ ও তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চলছে। দেশের সব বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ট্রাস্টের কার্যক্রমের আওতায় আনার কাজ চলছে। প্রতিবছর যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা, শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বৌদ্ধ তীর্থযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে এই তীর্থযাত্রায় প্রথম পর্যায়ের ২৮ জন তীর্থযাত্রী ও সহায়ক কর্মকর্তারা ভারতে অবস্থিত বৌদ্ধ মহাতীর্থস্থান, বুদ্ধগয়া, সারনাথ, কুশিনগর, শ্রাবন্তী, নালন্দা পরিদর্শন করে তীর্থব্রত পালন করেছেন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি