ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে বাড়ছে অস্ত্রের বেচাকেনা (ভিডিও)

আশরাফ শুভ, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৫, ১৮ মার্চ ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

চরম আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও ২০২২ সালে দ্বিগুণ অস্ত্র আমদানি করেছে ইউরোপ। অন্যদিকে ৪০টি দেশে রপ্তানি করে অস্ত্র বিক্রেতাদের তালিকার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ারে সঙ্গে যুদ্ধের জেরে অস্ত্র আমদানিতে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইউক্রেন। তবে বেচাকেনা কমেছে রাশিয়ায়। সুযোগে বাজার চাঙ্গা হচ্ছে ফ্রান্স ও জার্মানির। 

করোনার ভয়াল থাবা এবং মহামারী পরবর্তী আর্থিক বিপর্যয়ের পরও বিশ্বজুড়ে কমেনি অস্ত্রের ঝনঝনানি। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ও যুদ্ধের মতো নানা কারণে প্রতি বছর সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে প্রভাবশালী দেশগুলো। হু হু করে বাড়ছে অস্ত্রের বেচাকেনা।

গেল ৫ বছরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে ভারত। যা বিশ্বের মোট অস্ত্র বাণিজ্যের ১১ শতাংশ। অন্যদিকে এই ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের মোট চাহিদার ৪০ ভাগ অস্ত্রের যোগান দেয় দেশটি। সুইডেন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এসব তথ্য জানায়।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ২০২২ সালে ইউরোপে অস্ত্র আমদানি বেড়েছে ৯৩ শতাংশ। যার মধ্যে ৩১ শতাংশই গেছে ইউক্রেনে। এতে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি।  কিয়েভকে বেশি অস্ত্র দিয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড ও জার্মানি।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, পশ্চিমাদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক ও নানা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। গতবছর বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানিতে দেশটির অবদান ২২ থেকে কমে ১৬ শতাংশে নেমে গেছে। এছাড়া গেল পাঁচ বছরে মস্কোর অস্ত্র রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ।

এদিকে, রাশিয়ার এই পিছিয়ে পড়াকে কাজে লাগাচ্ছে ইউরোপের অস্ত্র ব্যবসায়িরা। গত ৫ বছরে ফ্রান্সের রপ্তানি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। এশিয়া প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে প্যারিস। ২০২২ সালে রাশিয়ার চেয়ে বেশি অর্ডার পেয়েছে ফ্রান্স। এছাড়া জার্মানি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে চাঙ্গা হচ্ছে অস্ত্রের বৈশ্বিক বাজার। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি