কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত
প্রকাশিত : ১৮:৪০, ২৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪৩, ২৭ জুলাই ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে এ ঘোষণা এলো যখন সংগঠনটির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমন্বয়কসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৭ জুলাই) সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি ও হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চার নেতাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া চারজন হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এদিন গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গুলশান থানায় সিদ্দিক আবু জাফর নামে একজন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এজাহারে তিনি ছয়জনকে অভিযুক্ত করেন—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন ও আইনের সংঘাতে জড়িত এক কিশোর মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে বাদী ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর আরও টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ২৭ জুলাই ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ অভিযুক্তদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে।
এসএস
আরও পড়ুন