ঢাকা, শনিবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে এসে তোপের মুখে ডা. সাবরিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে এসে ছাত্রদলের তোপের মুখে পড়েছেন বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। ডা. সাবরিনাকে তারা আওয়ামী লীগের দালাল বলে স্লোগান দেন। 

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি আকরাম। তিনি ডা. সাবরিনার পরিচয় জানতে চান। ডা. সাবরিনা বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সদস্য। 

এরপর ছাত্রদল নেতা বলেন, বিএনপি থেকে একটি প্রেস দেওয়া হয়েছে, আপনার এখানে আসার কথা না। আপনি আগে শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন। জবাবে সাবরিনা বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমি কখনো কোনো স্লোগান দিইনি, এবং ছাত্রদল নেতাদের কাছে সেই স্লোগানের প্রমাণ দেখাতে বলেন। 

একপর্যায়ে আকরাম তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখান থেকে চলে যেতে হবে। এরপর সাবরিনা বলেন, জিয়ার মাজার সবার।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, উপস্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী সাবরিনাকে ঘিরে ‘আওয়ামী দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ডা. সাবরিনা প্রাইভেট কারে চরে চলে যান।
 
এর আগে গত ২৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘বিতর্কিত ডাক্তার সাবরিনা করোনার সার্টিফিকেট জালিয়াতি মামলায় অপরাধী। মহিলা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে যাওয়ার সাহস পেল কোথা থেকে? তাকে যারা নিয়ে গেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
 
অভিযোগ রয়েছে, ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। 

তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অন্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেডলাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।

ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগও রয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় প্রতারণা মামলা করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। 

২০২২ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামীসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত রয়েছেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি