দিনাজপুরের গৃহপরিচারিকাসহ পীর খুনের ঘটনায় ধর্মীয় বিদ্বেষ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ১৪ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪৭, ১৪ মার্চ ২০১৭
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে গৃহপরিচারিকাসহ পীর খুনের ঘটনায় পেছনে ধর্মীয় বিদ্বেষ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এরই মধ্যে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে গৃহপরিচারিকার স্বামী, মুরীদ শফিকুল। গেলে মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও এলাকার পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী এবং তার গৃহ পরিচারিকা রূপালীকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা।
দিনাজপুরের দৌলা গ্রামে ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফ-এ ঘটে এই হত্যাকান্ড।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দরবার শরীফে এসে ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও রূপালীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন খাদেমরা। খবর ছড়িয়ে পড়লে দরবার শরীফে ভীড় শুরু করেন মুরীদরা।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার। নিহতদের শরীরে গুলি ও ছুরির আঘাত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের ৩ দিন আগে গৃহপরিচারিকা রূপালী বেগমের বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শফিকুল নামে এক মুরিদের সাথে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ আছে শফিকুল।
বোচাগঞ্জের দৌলা গ্রামে ২০১০ সালে কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন ফরহাদ হোসেন চৌধুরী। হত্যাকান্ডের পরপরই মুরীদদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন
