নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
প্রকাশিত : ১৭:২৭, ৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩০, ৪ নভেম্বর ২০২৫
নানা অনিয়মের অভিযোগ আর অব্যবস্থাপনায় চলছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল। প্রয়োজনীয় ঔষধ না পাওয়া, অধিক টাকা চাওয়া, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভদের দৌরাত্ম্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানারকম অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বিরুদ্ধে। এ সকল অব্যবস্থাপনার চিত্র ধারণ করতে গেলে প্রায়ই হেনস্তার মুখে পড়তে হয় সংবাদিকদের।
কিছু ভুঁইফোঁড় ফার্মাসিউটিক্যালস এর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভদের দৌরাত্ম্যে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীসহ সেবা নিতে আসা মানুষদের। সরেজমিন একুশে টেলিভিশনের এ প্রতিবেদক মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) হাসপাতাল প্রাঙ্গনে গেলে অভিযোগের সত্যতা মেলে।
এদিকে দু’জন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভের সাথে হাসপাতালের চত্বরে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখে একজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। অন্যজনকে জিজ্ঞেস করলে ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখাতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন আমি রিপোর্ট আনতে বলেছি। পুনরায় ঐ বিক্রয় প্রতিনিধিকে জিজ্ঞেস করলে তারা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত হাসপাতাল চত্বর ত্যাগ করেন ।
রোগীদের অভিযোগ ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম লিখে দিলেও হাসপাতালটির ফার্মাসী থেকে ঔষধ দেয়া হয় না। কেউ কেউ অধিক টাকা চাওয়ার বিষয়েও অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃতৌহিদ আল হাসানের চেম্বারে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইদুল ইসলামের রুমে গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোন করা হলে তিনি জানান সপ্তাহে একদিন অথ্যাৎ সোমবার রোগী দেখার পর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভদের ভিজিটিং নির্দিষ্ট করা আছে। তবে সাংবাদিককে হেনস্থার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
জানা যায়,সম্প্রতি কাজী বিপ্লব নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক হাসপাতালের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেন। সোমবার এর ফলোআপ করতে হাসপাতালে গেলে তাকে পেয়ে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভদের সিন্ডিকেটধারী একদল সদস্য আক্রমণ করতে উদ্ধত হয়। খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা যেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে নির্দিষ্ট ঔষধ থাকার পরও তা রোগীকে না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় একজনকে প্রহার করেন হাসপাতালের এক কর্মচারী। এ খবর একুশে টেলিভিশনে প্রচার হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযুক্ত ঐ কর্মচারীর বিরুদ্ধে পরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ।
এমআর//
আরও পড়ুন










