ফ্লাইট এক্সপার্টের মালিক পালালেও ধরা পড়েছে ৩ কর্মী
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ৩ আগস্ট ২০২৫

হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’। প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম। এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তারও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ চালু থাকলেও, বন্ধ রয়েছে ওয়েবসাইট। বন্ধ গ্রাহকসেবা কেন্দ্রও। একইসঙ্গে বন্ধ রাজধানীর মতিঝিলে থাকা ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যালয়। ধারণা করা হচ্ছে, কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন সালমান বিন রশিদ। এছাড়াও দুবাইতে ব্যবসা ও অফিস রয়েছে তার।
এদিকে ভয়াবহ এই প্রতারণার ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। ওই মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফ্লাইট এক্সপার্ট ইস্যুতে মতিঝিল থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা হলেন- এমডি সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম (১), এমডির বাবা এম এ রশিদ শাহ সম্রাট (২), হেড অব ফিন্যান্স মো. সাকিব হোসেন (৩), চিফ কমার্শিয়াল সাইদ আহমেদ (৪) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৫)।
বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক গত রাতে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় এরই মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এজেন্সির হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাইদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
জানা যায়, বিমানের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ফ্লাইট এক্সপার্ট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কম দামে টিকিট পাওয়া যেত এই প্ল্যাটফর্মে। এক পর্যায়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের সেবা যেমন- হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজসেবাও নিয়ে আসে ফ্লাইট এক্সপার্ট। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে বিতর্কিত ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিনিয়োগের খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা উঠিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম। তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
এসএস//
আরও পড়ুন