বাংলায় রায় দিয়ে বিখ্যাত যারা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল বেশ ক’জন বিচারপতি। বাংলা ভাষায় রায় আর আদেশ দিয়ে তাঁরা বিখ্যাত হয়েছেন। তবে ইংরেজির রায়ের অনুবাদ নয়; বরং বাংলায় রায় দেয়াকেই প্রাধান্য দিতে চান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ বলছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। আর ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন করা হয়েছিল।
সরকারি অফিস, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া অন্যান্য কাজের মাধ্যম হবে বাংলায়।
তবে সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রতিকার চাইতে কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থও হন। দশ বছর আগে অল্পসংখ্যক বিচারপতি বাংলায় রায় দিলেও এখন তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে।
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আইনগুলো এবং বিদেশি ও দেশি রেফারেন্স সবগুলোই ইংরেজিতে এবং আমাদের অনেকগুলো মামলা বিদেশিরাও দেখে। বিশেষ করে কমার্সিয়াল ম্যাটারগুলো বাইরের লোকজন দেখে থাকেন। এসব কারণে পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলা সম্ভব হবে না।’
সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘পুরোপুরিভাবে সুপ্রিম কোর্টে বাংলা প্রচলনের জন্য যেসব পদক্ষেপগুলো নিতে হবে সেগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত না নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরি এটা বাস্তবায়িত হবে না।’
প্রয়াত বিচারপতি এ আর এম আমীররুল ইসলাম চৌধুরী নব্বই দশকের শুরুতে প্রথম উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষায় রায় দেন। অতপর বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, বিচারপতি হামিদুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দীকীসহ অনেকেই রায় দিচ্ছেন বাংলায়।
  
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ‘ধরেন বাংলা ও ইংরেজিতে একটা উপন্যাস আসলো। আমি কিন্তু মূল উপন্যাসটি বাংলায় পড়তেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করবো। তাতে উপন্যাসের যে রস, যে বর্ণনা, ভেতরের মানেটা বুঝতে সুবিধা হয়। আপনি যত চেষ্টাই করেন অনুবাদ করে সেটা আনা সম্ভব নয়।’
লন্ডনের আদালতে ইংরেজি ভাষায় রায় চালু করতে কয়েকশ’ বছর লেগেছিলো। সেই তুলনায় দেশের সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা অগ্রণী।
বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ‘জজ সাহেবদের কষ্ট হলেও অনুগ্রহ করে বাংলা ভাষায় রায় লিখুন। যারা এখনও বাংলা ভাষায় লিখতে পারছেন না তারা ইংরেজিতে লিখে বাংলায় একটা সিনোপসিন করে সেটায় সই করে দিয়ে দিলেন।’
সফটওয়ারের মাধ্যমে নয়, উচ্চ আদালতে সব ধরণের রায় হবে বাংলায়-এমন প্রত্যাশা তাঁদের।
এএইচ/
 
				        
				    






























































