জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যার রহস্য উন্মোচন, আটক ৪
প্রকাশিত : ০৮:২৯, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৮:৪২, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী ও সন্দেহভাজন মাহির রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত জোবায়েদ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি। গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নুরবক্স লেনের রৌশান ভিলা এলাকায় বার্জিস শাবনাম বর্ষা নামের ওই ছাত্রীকে পড়াতেন।
গত রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি বাসায় টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন জুবায়েদ। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনি তিনতলায় পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতেই জুবায়েদের ওই ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন আটক মাহির রহমান। সম্প্রতি সম্পর্কের অবসান ঘটান ওই ছাত্রী, যা নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।
ঘটনার দিন রোববার বিকালে ওই ছাত্রীর বাসায় টিউশনে যাওয়ার পথে জোবায়েদের সঙ্গে দেখা হয় মাহিরের। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পরেই জোবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে রক্ত ভেজা হাত নিয়ে মাহির বাড়ি ফিরেন। সোমবার সকালে চকবাজার থানায় নিজ হাতে ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন মাহিরের মা।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে জোবায়েদের প্রথম জানাজা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন