ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

নাম বিভ্রাটের কারণে সাজা

বাদল ফরাজীর মুক্তি চেয়ে রিট আদেশ আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ১১ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বন্দিবিনিময় চুক্তির অধীনে ভারত থেকে দেশে ফেরত আনা বাদল ফরাজীর মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বুধবার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার আদেশের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। গত শুক্রবার ভারত থেকে বাদল ফরাজীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ১০ বছর ধরে কারাভোগ করছিলেন। দেশে ফেরার পর তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়। এ নিয়ে পরদিন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাম বিভ্রাটের কারণে একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি ছিলেন বাদল ফরাজী। পরে পত্রিকার ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। এরপর আদালত লিখিত আকারে তা দাখিলের পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব ও মো. কাউছার ওই রিটটি করেন।
রিট আবেদনে বাদল ফরাজীকে কারাগারে আটক রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। রিটে পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি ও আইজি প্রিজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৬ মে দিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় সেখানকার পুলিশ বাদল সিং নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছিল। এরই এক পর্যায়ে ওই বছরের ১৩ জুলাই টুরিস্ট ভিসায় বেনাপোল সীমান্ত পার হওয়ার পর বাংলাদেশি নাগরিক বাদল ফরাজীকে গ্রেফতার করে ভারতের পুলিশ। বাদল সিং মনে করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিচার শেষে তাকে ওই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ দেন ভারতীয় আদালত। এরপর থেকে তিনি ভারতের তিহার কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। পরে ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থা নির্দোষ বাদল ফরাজীর কারাভোগের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ৬ জুলাই তাকে ভারত থেকে দেশে ফেরত আনা হয়।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি