বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৩তম বছর আজ
প্রকাশিত : ১৫:৪৫, ১ নভেম্বর ২০২০

বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ১৩ বছর পূর্তি আজ। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার মূল নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলেও এখনো আলাদা সচিবালয় হয়নি। তাই বিচার বিভাগ এখনও স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পায়নি বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
বিচার ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মাসদার হোসেনসহ ৪৪১ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের রায় দেন হাইকোর্ট।
আপিল শুনানি শেষে ১৯৯৯ সালে বিচার বিভাগ পৃথক করতে ১২ দফা নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ।
রায়ের আট বছর পর ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর মূল নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করা হয়। ওই দিনই নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে দেশের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোর ওপর বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, এটা একদিনের ব্যাপার না, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে জনগণ নিয়োগ হবে, বিচারক নিয়োগ হবে, তার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। যাতে রায় অনুসারে বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকে। এই বিষয়টা আমাদের নিশ্চিত করার দায়িত্ব।
তবে আনুষাঙ্গিক কিছু বিষয়সহ অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নে নির্দেশনাগুলো এখনও কার্যকর হয়নি।
আব্দুল মতিন খসরু বলেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গিকার। মাসদার হোসেন মামলার যে ঐতিহাসিক রায় প্রদান করা হয় সেখানে ১২টি নির্দেশনা ছিল। এখানে অন্যতম নির্দেশনা ছিল আমাদের সুপ্রীম কোর্টের স্বাধীন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতিমধ্যে তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে এগুচ্ছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন