ব্যারিস্টার মইনুলের সংবাদ ৭ দিন বর্জনের আহ্বান

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সব ধরনের সংবাদ সাত দিনের জন্য বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছেন নারী সাংবাদিকরা। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার (২০ অক্টোবর) বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের কাছে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এই বক্তব্য শুধু নারীর জন্য নয় সকল নাগরিকের জন্য অবমাননাকর, আপত্তিকর ও চরম অসহনশীলতার পরিচায়ক বলে মনে করেন নারী সাংবাদিকরা। চিঠিতে বলা হয়, ‘তার (মইনুল হোসেন) মতো যারা রাজনৈতিক সহনশীলতার কথা বলেন, তাদের কাছ থেকে এ ধরনের শব্দচয়ন উদ্বেগজনক এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য বিপজ্জনকও বটে।

সুতরাং, এই বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক তার কাছ থেকে একটি প্রকাশ্য মার্জনা প্রার্থণা দাবী করা হচ্ছে দেশের সব সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও ব্যারিস্টার মইনুলের কাছ থেকে সেরকম কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উপরন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী সাংবাদিকদের প্রতি চরম অবমাননাকর প্রচারণা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মাসুদা ভাট্টিকে লক্ষ্য করে চালানো অপপ্রচার সব সীমা অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায়, তার নিরাপত্তা সংকটও তৈরি হয়েছে।’

নারী সাংবাদিকরা বলেন, ‘এই অবস্থায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এই আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় এবং এখনও জনসম্মুখে ক্ষমা না চাওয়ায় তাকে সব ধরনের সংবাদ, অনুষ্ঠান এবং টক শো থেকে বয়কট করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষার্থেই এই দাবী সঙ্গত বলেও আমরা মনে করি।’

গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিলো। এ সময় ব্যারিস্টার মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে যে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কিনা?’

জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

আরকে//