ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ আগস্ট ২০২৫

মৎস্য ভবনের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অবরোধ, কুশপুত্তলিকা দাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫১, ২৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২২:২৯, ২৮ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও তিন দফা দাবিতে রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে মৎস্য ভবনের গোলচত্বর এলাকায় অবরোধ করেন তারা।

এর আগে আজ বিকেল ৫টার দিকে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি টিএসসি হয়ে শিক্ষা ভবন মোড় থেকে হাইকোর্টের পাশ দিয়ে কাকরাইল মোড় হয়ে বেইলি রোডের ডিএমপি কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে অবরোধ গড়ে তোলেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপনের পরিকল্পনা ছিল বুয়েট শিক্ষার্থীদের। তবে পুলিশি বাধায় সেখানে পৌঁছাতে না পেরে তাঁরা মৎস্য ভবনে অবস্থান নেন।

এদিকে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শেষে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের কুশপুত্তলিকা আগুন দিয়ে দাহ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


বুয়েট শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—

১. আন্দোলনে পুলিশি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. রোকনুজ্জামানকে হেনস্তাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

৩. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো আলোচনায় স্থান দিতে হবে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টা) তাঁরা সড়ক অবরোধ করে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ আগস্ট) প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা রংপুর নেসকোর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। পরে শিক্ষার্থীরা চলে গেলে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের কক্ষে সহকারী প্রকৌশলী ও বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রোকনকে ডেকে নেওয়া হয়। সে সময় সেখানে উপস্থিত ২০–২৫ জন ডিপ্লোমাধারী কর্মকর্তা রোকনকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন এবং হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরদিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া—ওই তিন দফা দাবিসহ, শিক্ষার্থী রোকনকে হেনস্তার প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বুধবার তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল ‘লংমার্চ টু ঢাকা’। এর অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ ও আশপাশের সড়ক। বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা দেন। তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় পেরোনোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশের হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, পুলিশকে লক্ষ্য করে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

এসএস//


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি