যে খাবার স্তন ক্যানসার রোধ করে
প্রকাশিত : ১৩:০০, ১৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪০, ২১ জুন ২০১৮
 
				
					নারীদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে তাঁদের মেনোপজের পর স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হওয়া একটা গবেষণায় এমনটা জানা গেছে। পরীক্ষায় জানা যায়, মহিলাদের রক্তে সিরামে ২৫-হাইড্রক্সিভিটামিন ডি (ওএইচ)- রক্তে উপস্থিত ভিটামিন ডি এর আসল রূপ- ৬০ এনজি/ এমএল (ন্যানোগ্রাম পার মিলিলিটার) এর ওপর থাকলে, যাদের রক্তে ২০ এনজি/ এমএল এর কম উপস্থিত থাকে, তাদের তুলনায় স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক কম থাকে। তাই সান দিয়েগো- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, রক্তে ২৫ ওএইচ প্লাজমার উপস্থিতি পূর্বে উল্লেখিত ২০ এনজি/ এমএল এর পরিবর্তে ৬০ এনজি/ এমএল কে স্বাভাবিক বলে গণ্য করা প্রয়োজন।
গ্র্যাসরুটসহেলথ- এক নন-প্রফিট পাবলিক হেলথ রিসার্চ অর্গানাইজেশনের প্রধান প্রবক্তা শ্যারন ম্যাকডোনেল জানান, “স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য রক্তে উপস্থিত ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ২০ এনজি/ এমএল এর বেশি হওয়া প্রয়োজন।“ গড়ে ৬৩ বছর বয়সী ৩,৩২৫ এবং ১,৭১৩ জন মহিলাকে নিয়ে পরপর দুটো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর করা সমীক্ষার ভিত্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ৫টা খাদ্যের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১. মাশরুম
সপ্তাহে চারদিন আপনার খাদ্য তালিকায় মাশরুম যোগ করুন এবং রক্তে উপস্থিত ভিটামিন ডি এর পরিমাণের তারতম্য দেখুন। যেভাবে খুশি রান্না করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাশরুম খান। আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি পেতে হলে মাশরুম রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপর খান। সূর্যের আলোয় মাশরুম নিজের দেহেই ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে পারে।
২. চীজ
চীজ ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। সকালের জলখাবারের টোস্টে চীজ যোগ করে উপভোগ করুন আর রক্তে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
৩. মাছ
সব প্রকার মাছই ভিটামিন ডি এর উৎকৃষ্ট উৎস। তেল যুক্ত মাছে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেশি থাকে। এমন তেলযুক্ত মাছের উদাহরণ হল স্যামন। এছাড়াও ট্রউট, ম্যাকারেল, টুনা মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
৪. ডিম
ডিমের কুসুমের আবার খাদ্য তালিকায় ফিরে আসার সময় হয়েছে। কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায়, এবার থেকে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরিবর্তে আবারও গোটা ডিম খাওয়া শুরু করুন। সুতরাং ডিমের শুধু মাত্র সাদা অংশ খাবেন- এই চিন্তা বাদ দিয়ে কুসুমকে আপন করে নিন।
৫. সোয়া দুধ
সোয়া দুধ একটা উদ্ভিজ্জ দুগ্ধ উপাদান, যা সোয়াবিন শুকিয়ে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এতে সাধারণ গরুর দুধের সমান প্রোটিন থাকার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, সি এবং আয়রন উপস্থিত।
এসি
 
				        
				    






























































