যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা: প্রধান আসামি জনির দায় স্বীকার
প্রকাশিত : ১২:১১, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জনি ভূঁইয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার দায় স্বীকার করে আসামি জনি সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
তদন্তে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পলাতক আসামি মফিজুর রহমান ওরফে মামুন বিদেশে বসে আধিপত্য ও লেনদেনের বিরোধ থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে কিবরিয়াকে হত্যা করান।
পুলিশ জানায়, জনি ও আরও কয়েকজন ভাড়ায় খুন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, আটক জনি ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিবরিয়াকে হত্যা করতে তাঁদের ভাড়া করা হয়েছিল। নেপথ্যের ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে।
গত সোমবার পল্লবী থানার সেকশন-১২ এলাকা থেকে জনগণ জটিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
একইদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা মঙ্গলবার বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজহারনামীয় আসামি করা হয় পাঁচজনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়। এজহারনামীয় আসামিরা হলেন— জনি ভূঁইয়া, সোহেল, সোহাগ, মাসুম ও রোকন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন










