ভোলার দ্বীপে কাঁকড়া চাষে সাবলম্বী কৃষক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ১৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৫, ৩০ আগস্ট ২০১৮
ভোলায় সাগর মোহনার দ্বীপ কুকরি মুকরিতে বাণিজ্যিক ভাবে কাঁকড়া চাষের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইলিশ, চিংড়ির পর কাঁকড়া এখন এ অঞ্চলের জেলেদের মূল্যবান সম্পদ। এরইমধ্যে কাঁকড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন অনেকেই। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা পেলে কাঁকড়া রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চর কুকরি মুকুরির চাষী খলিলুর রহমান, কয়েক বছর আগে অনাবাদি ১৫ একর জমিতে ঘের তৈরি করে কাঁকড়া চাষ শুরু করেন। নদী থেকে জেলেদের ধরে আনা কাঁকড়ার বাচ্চা তিনি খামারে ছাড়েন। খাবার হিসাবে ব্যবহার করেন কুচিলা, পচা চিংড়ি এবং শুটকি। মাত্র ৩ মাস পরই তা ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রাম ওজনে পরিণত হয় এক একটি কাঁকড়া।
দেশে-বিদেশে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভোলার চরফ্যাশনের কুকরি মুকরিতে খামারে কাঁকড়া চাষ শুরু হয়েছে। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে কাঁকড়া চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শীত মৌসুমে সাগরমোহনার ডুবোচর ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থেকে কাঁকড়া ধরে খামারে সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করে অনেকে। এসব কাঁকড়া আকার ভেদে ৪শ’ থেকে ৮’শ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করে তারা।
ছোট বড় এসব খামারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এই জনপদের অনেকের।
কাঁকড়া চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
সম্ভাবনাময় কাঁকড়া চাষ এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন






![বাসক পাতা চাষে ভাগ্য ফিরেছে দেড়শো পরিবারের [ভিডিও] বাসক পাতা চাষে ভাগ্য ফিরেছে দেড়শো পরিবারের [ভিডিও]](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2019January/SM/Bashok-Pata20190121083854.jpg)



