ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

লাগাতার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার নারী (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৩০ মে ২০২১

কর্মক্ষেত্র থেকে ঘনিষ্ঠতা। সুযোগ বুঝে ধর্ষণ, একইসঙ্গে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ। এরপর থেকেই লাগাতার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ওই নারী। মাসে পর মাস ধরে চলে ধর্ষণ এবং জোর করে নগদ অর্থ আদায়। ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলেও করা হচ্ছে হেনস্তা। এদিকে, এ ঘটনায় মামলা হলেও আসামীকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

প্রথমবার ধর্ষণের পর এই ভিডিওটি পাঠানো হয় ওই নারীর কাছে। আর এই দিয়েই শুরু অভিযুক্ত সজিবের ব্ল্যাকমেইলিং। মাসের পর মাস ধরে করে ধর্ষণ, আর নতুন নতুন ভিডিও ধারণ, তারপর চাপ দিয়ে নগদ টাকা আদায় করা ছিলো কৌশল।

অভিযোগকারী নারী বলেন, ভালো বন্ধুত্ব হয়ে পরে, তারপর একদিন মিথ্যা বলে বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে ধর্ষণ করে, এগুলো সে ভিডিও করে রাখে। তারপর থেকে এই ভিডিও দেখিয়ে দেখিয়ে প্রত্যেক বার ওর বাসায় নিয়ে যায়। সেগুলোও ভিডিও করে, টাকা-পয়সা দিলে একটি ডিলিট করে আবার একটি রেখে দেয়।

একপর্যায়ে পরিবারকে জানিয়ে সজিবের বিরুদ্ধে মামলা করলেও থামেনি তার অপকর্ম।

অভিযোগকারী নারী আরও বলেন, লজ্জায় পড়ে আমি গ্রামে চলে চাই। গ্রামের এমন জায়গায় চলে চাই, যাতে কেউ আমাকে খুঁজে না দেখে। সেখানেও আমাকে ছাড় দেয়নি। এটিও পুলিশকে জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীকে হেনস্তার কিছু প্রমাণ এসেছে একুশে’র হাতে।

আর যেই বাসায় নিয়ে প্রথম ধর্ষণ করা হয় সেই বাসার এক নারীও সেদিন ধর্ষণে সহায়তা করে বলে অভিযোগ আছে। প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে সেদিনের কিছু তথ্য দেয় ওই নারী।

অভিযুক্ত নারী বলেন, আমি দেখেছি সজিব ভাই এসেছিল।

অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবেই বক্তব্য মেলেনি অভিযুক্ত সজিবের। অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফোনে তার বক্তব্য দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. সজিব খান বলেন, সে হচ্ছে একটা দুরন্ধর প্রকৃতির। বিভিন্ন মেয়েকে ফুসলিয়ে সম্পর্ক গড়ে বিভিন্ন এভিডেন্স রাখে দেয়। এভিডেন্স অনুযায়ী নোয়াখালী পর্যন্ত চাই কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি সর্ম্পকের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হবার আহবান জানান।

মিরপুর বিভাগের ডিসি আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আসামী ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। যাতে আসামী দ্রুত ধরা যায়। তো থানা-পুলিশ কাজ করছে, যে কোন সময় ধরে ফেলবে। তবে এটাই হওয়া উচিত যে, যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বস্ত অর্জন না করে, তার সম্পর্কে না জেনে আমি না তার সাথে যাবো, না তার সাথে বন্ধুত্ব করবো, না তার সাথে কোন অনৈতিক কাজে জড়াবো।

করোনাকালে সামাজিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে গবেষণার প্রতি তাগিদ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আ স ম মাহাতাব উদ্দিন আরও বলেন, আমার মনে হয় এটা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি