‘চিকিৎসা সেবায় হোপ মা ও শিশু হাসপাতাল আস্থার প্রতীক’

প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবায় হোপ মা ও শিশু হাসপাতাল আস্থার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন মিরসরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এলাকার সিনিয়র সাংবাদিক সরফুউদ্দীন কাশ্মীর।

সম্প্রতি হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। 

তিনি বলেন, ভয়াবহ করোনা মহামারিতে মিরসরাই হোপ মা ও শিশু হাসপাতাল দিবা-রাত্রী এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা সেবায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের কাছে আস্থার প্রতীক এ হাসপাতালটি। অত্র অঞ্চলে এ হাসপাতালের পূর্ব থেকেই একটা সুনাম রয়েছে। তাছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা আক্তার হাসপাতাল পরিচালনায় বেশ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আগামীতেও সেবার মানও সাধারণ মানুষের আস্থা  ধরে রাখতে পারলে রাখতে পারলে এ প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা সেবায় এ অঞ্চলে আস্থার প্রতীক হয়ে থাকবে। 

এছাড়া সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মিরসরাই পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক শাখের ইসলাম রাজু বলেন, দেশে চলমান করোনা দুর্যোগে অনেক হাসপাতাল ও চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা দিবা-রাত্রী ২৪ ঘণ্টা মিরসরাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া দেশে চলমান করোনা দুর্যোগে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে কর্মরত সাংবাদিকদের পরিবারকে এ হাসপাতালে ফ্রী চিকিৎসা দেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা করোনা মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। 

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা আক্তার বলেন, আমি দীর্ঘদিন মিরসরাই এলাকায় চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জনে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছি। আগামীতেও জনগণের আস্থা এবং সেবার মান ধরে রাখার চেষ্টা করবো। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা চলাকালে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগীতা এবং পৌরসভার মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় ইতিমধ্যে সেসব জটিলতা কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সকলের  সহযোগীতার জন্য আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি  আপনারা ও মিরসরাই এলাকার জনগণই এ হাসপাতালের মালিক। সুতরাং আপনাদের ও এলাকাবাসী দোয়া ও  সহযোগীতা অব্যহত থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলে হোপ মা ও শিশু হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় একটি মডেল হাসপাতালে রুপান্তর হবে। 

ডাক্তার রজ্ঞন কুমার সিংহ বলেন, আমরা রোগীদের ভালো মানের ঔষধসহ যথাযথ তদারকি এবং  সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। মতবিনিময় সভায় মিরসরাই প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, চলমান করোনা দুর্যোগে চিকিৎসা সেবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ইতিপূর্বে গত ১০ জুন হোপ মা ও শিশু হাসপাতালে মিরসরাই সিএনজি সমিতির ১৬ ইউনিটের সভাপতি সম্পাদকদের নিয়েও মতবিনিময় সভা হয়েছিল। সে সভায় এলাকার সকল সিএনজি চালকদের পরিবারের জন্য চিকিৎসা সেবায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এলাকায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আগামীতেও পল্লী চিকিৎসক, ধাত্রীদের এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ নিতে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা অব্যহত থাকবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এমবি//