ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বাগেরহাটে

১১৫ বছরের খেলারমাঠ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৩৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ১‘শ ১৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঐডাঙ্গা বিএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও খেলার মাঠ রক্ষায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে জবর দখলকারী ভূমিদস্যু রবিউল আলম সরদারের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা। 

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খলিলুর রহমান গাজী, আজগর আলী, ফরিদ শেখ, আবু তালেব, আব্দুল হামিদ শেখ, মো. আনিসুর রহমান, জাহিদ ইকবাল, ফকিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জয়ন্ত কুমার দাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘১৯০৬ সালে ব্রজলাল চক্রবর্তী নামের শিক্ষানুরাগী এক ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় বিদ্যালয়ের অধীনে অনেক জমি ছিল। স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দখলবাজরা বিদ্যালয়ের অনেক সম্পত্তি জবর দখল করে নেয়। শেষ পর্যন্ত একটি পুকুর ও খেলার মাঠসহ বিদ্যালয়ের ১ একর ৮৮ শতক জমি ছিল। এসএ রেকর্ড থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সকল কাগজপত্রে ওই জমি বিদ্যালয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৫ সালে এলাকার চিহ্নিত ভূমি দস্যু রবিউল আলম সরদার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন ১১৫ বছরের খেলার মাঠ তার নিজের বলে দাবি করে।’ 

তারা বলেন, ‘শুধু দাবি করেই থেমে থাকেননি তিনি, খেলার মাঠে ঘরও নির্মাণ করেছেন। এছাড়া ওই মাঠ দখলের জন্য কিছু জাল কাগজপত্রও তৈরি করেছেন ওই ব্যক্তি। ওই কাগজপত্র দিয়ে কোর্টে মামলাও করেছেন। এসবের বিরুদ্ধে যারা কথা বলতে চায় তাদের নামে মামলা করেন এ ভূমিদস্যু। এলাকার অনেকের নামেই একাধিক মামলা করেছে সে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও সম্পত্তি রক্ষায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ফকিরহাট উপজেলা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, ‘একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের জন্য পায়তারা করছে রবিউল সরদার। এ কথা সবাই জানে বিদ্যালয়ের জমি ও আশপাশের জমি ব্রজলাল চক্রবর্তীর। এ জমি কিভাবে তার পৈত্রিক সম্পত্তি হয় তা আমরা বুঝিনা।’

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর সবুর শেখ বলেন, ‘জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। মামলার রায় বিদ্যালয়ের পক্ষেই আসবে আশা করি।’ 

এআই/আরকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি