ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন, খুশি চাষীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪৭, ১৯ মে ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় লাভের আশায় খুশি চাষীরা। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ২২ কোটি টাকার লিচু বাজারজাত হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। 

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ৩৯০ হেক্টর জমি, কসবা উপজেলার ৩৫ হেক্টর ও আখাউড়া উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পাটনাই, বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। 

এছাড়া জেলার বাকি উপজেলাগুলোতে লিচুর আবাদ হয়েছে আরও ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার লিচুর ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬৫০ টন। 

২০০১ সাল থেকে জেলায় বাণিজ্যভাবে লিচুর আবাদ শুরু হলেও প্রতিবছরই বাড়ছে আবাদের পরিমাণ। ছোট বড় মিলিয়ে জেলায় ৪২০টির মত বাগান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে পাটনাই লিচু বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতে লিচু পাকতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে। বর্তমানে  ১ হাজার পাটনাই লিচু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায়। আর বোম্বে এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচু ২৫০০-৩৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। 

তারা জানান, পাইকাররা এখন বাগানে এসে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া অনেক দর্শনার্থীও আসছেন পরিবার নিয়ে লিচু বাগানে ঘুরতে। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি তারাও লিচু কিনছেন।

লিচু বাগানে ঘুরতে আসা আশিষ সাহা নামে এক দর্শনার্থী জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে লিচু বাগানে ঘুরতে এসেছেন তিনি। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েকশ’ লিচু কিনেছেন। বাগান থেকে টাটকা লিচু কিনতে পেরে খুশি বলেও জানান তিনি। 

বিজয়নগর সেজামুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ফল বিক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগান তিনি ১ লাখ টাকায় কিনেছেন। এবার তার বাগানে বোম্বে এবং পাটনাই জাতের লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। এ বাগান থেকে ৩ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

লিচু চাষি জসিম মিয়া জানান, তার বাগানের ৩১টি গাছে আনুমানিক দেড় লাখ লিচু ধরেছে। পাটনাই এবং বোম্বে দুই জাতের লিচুই আছে বাগানে। ইতোমধ্যে ভালো দামে পাটনাই লিচু বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এবার খরচ তুলে ভালো টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সুশান্ত সাহা বলেন, লিচুর ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের সবধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। 

ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জেলা থেকে ২২ কোটি টাকা মূল্যের লিচু বাজারজাত হবে বলে আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি